কিশোরগঞ্জে ধানখেত থেকে মোহাম্মদ মোহন (১৭) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কোনামাটি গ্রামের বোমহা বিলের ধানখেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ। মোহাম্মদ মোহন সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কোনামাটি গ্রামের গুনু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে ধানখেতে সার ছিটিয়ে দিচ্ছিলেন এক কৃষক। এমন সময় উল্টানো এক মরদেহ দেখতে পায় ওই কৃষক। পরে যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজনের কাছে গিয়ে বিষয়টি বলেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজন তৎক্ষনাৎ কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করলে জানা যায় মরদেহটি এই গ্রামেরই গুনু মিয়ার ছেলে মোহনের। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে মোহনকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷
এলাকাবাসী জানায়, মোহনের মা নেই। ছোটবেলা থেকেই অনাদরে বড় হয়েছে। হতাশাগ্রস্ত ছিল সে। তার মৃগী রোগও ছিল। গত ছয় মাস আগেও বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে। তবে বিলে কেনো যাবে সে এখানেই আমাদের সন্দেহ। আমরা অধিকতর তদন্তের দাবি জানাই। তদন্ত করলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, ছেলেটিকে মেরে ফেলছে। ছেলেটি খুবি ভালো ছিল। এই ভালো ছেলে বোমহা বিলে কি করবে? তাকে মেরে এখানে ফেলে দিছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ছেলেটির বাবা খুবি ভীতু মানুষ। কেউ যদি হুমকি দেয় মামলা-মোকদ্দমায় যাবে না।
মোহনের বাবা গুনু মিয়া বলেন, কিভাবে কি হয়েছে কিছু বলতে পারছি না।
যশোদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই এবং ঘটনাস্থলে যাই। আমার জানামতে ছেলেটা খুবই ভালো ছিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, মরদেহে তেমন কোনো গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আরও গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। মরদেহটি কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Comments
comments