ঢাকাসোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, স্ত্রীসহ ৩ জন কারাগারে

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ৭, ২০২৩ ৬:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (০৬ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে হোসেনপুর পৌর শহরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন নিহতের স্ত্রী চিকিৎসক শাহীন সুলতানা মিরা এবং মিরার দুই ভাই মো. নাসির উদ্দিন ও মো. এরশাদ। গ্রেপ্তার তিনজনই পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা গ্রামের মৃত সিরাজউদ্দিনের ছেলে ও মেয়ে। অন্যদিকে আরিফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন সদর ইউনিয়ন বাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে রোববার (০৬ আগস্ট) দিবাগত সোয়া বারোটার দিকে চিকিৎসক আরিফুল ইসলামের বড়ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সোমবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ায় মৃতের পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে শনিবার (০৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে হোসেনপুর পৌর শহরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সাথে গামছা প্যাচানো অবস্থায় চিকিৎসক আরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা হত্যার অভিযোগ তোলেন।

স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্র জানায়, আরিফুল ইসলাম এমবিবিএস পাস করে রাঙ্গামাটিতে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে মিরার সাথে বিয়ে হয়। পরে দুজনেই রাঙ্গামাটিতে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করেছেন। ৬ মাস আগে তারা দুজনেই চাকরি ছেড়ে হোসেনপুর বাজারে মর্ডাণ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তারা দুজন হোসেনপুর পৌর শহরের ঢেকিয়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হোসেনপুর আসার কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। শনিবারেও (০৫ আগস্ট) তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।

এদিকে রোববার (০৬ আগস্ট) দুপুরে অভিযুক্ত স্ত্রী শাহীন সুলতানা মিরা ‘আজকের পত্রিকা’কে বলেন, আমার স্বামী আমাকে তুই-তোকারি করে কোর্টে নিয়ে গিয়েছিল সেপারেশনের জন্য। একপর্যায়ে আমাকে জোরে একটি থাপ্পড়ও দেয় আরিফ। থাপ্পড়ের চোটে আমার চশমাটি ভেঙে পড়ে যায়। কোর্ট বন্ধ থাকায় আমাকে নিয়ে চলে আসে।

মিরা বলেন, আমার চোখে সমস্যার জন্য রাতে আমি ঘরে শুয়ে ছিলাম পরে আরিফ বাসায় আসলে ঘরের দরজা খুলে দেই। ঘরের লাইট অফ ছিল। এর মধ্যে আমি নামাজ আদায় করি। পরে লাইট অন করতেই আরিফ রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। অনেক ডাকাডাকি করলেও আরিফ দরজা খুলেনি। পরে বাসার মালিককে খবর দেই। বাসার মালিক এসে আরিফকে দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু আরিফ দরজা খুলেনি। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে আরিফ ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।

মিরা আরও বলেন, পরে ঘরে একটা চিরকুট পাওয়া যায়। যা আমার স্বামী রেখে গেছেন। সেই চিরকুটে লিখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।”

Comments

comments