ঢাকারবিবার , ১৭ আগস্ট ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চেতনানাশক খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই, চালকের মৃত্যু, স্ত্রীর হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার দুই আসামি কারাগারে

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ১৭, ২০২৫ ৭:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর আর বেঁচে ফিরতে পারেননি চালক মো. সুলতান (৬২)। এ ঘটনায় হিরু শেখ (৪৫) ও মো. বিপ্লব (৪৫) নামে ছিনতাইচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গোপালগঞ্জের গোপিনাথপুর এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে হিরু শেখ (৪৫) এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আমাটি শিবপুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে বিপ্লব (৪৫)। অন্যদিকে নিহত অটোরিকশাচালক মো. সুলতান পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামের মৃত মো. হাসেন উদ্দীনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগষ্ট সকাল সাতটার দিকে উপজলার পাটুয়াভাংগা ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক সুলতান প্রতিদিনের মত ভাড়ায় চালানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ মসজিদের সামনে থেকে তাকে কয়েকজনের একটি চক্র নেশা জাতীয় পানীয় সেবন করিয়ে অজ্ঞান করে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে৷ পরদিন তার অবস্থা অবনিত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে সুলতানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ মিনা আক্তার বাদী হয়ে ৮ আগস্ট পাকুন্দিয়া থানা মামলা দায়ের করলে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত করে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জ শহরের উজান ভাটি আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে অটোরিকশা বিক্রয়ের নগদ ১৮ হাজার টাকা, চোরাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার এবং চোরাই অটোরিকশা উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Comments

comments