গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এই দেশের রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে গেছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন এবং প্রতিবাদী। আগের মত কেন্দ্র দখল কিংবা ৫০০/১০০০ টাকায় ভোট কিনে এমপি হওয়ার দিন শেষ। জনগণ তার পছন্দমত যোগ্য নেতৃত্বকে বাচাই করবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এক বছরের পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে পারে নাই। বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের আটক করলেও কয়েক দিন পরই জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধে যুক্ত হয়। এসব অপরাধীদের অনেকের নামে ১৫/২০ মামলা রয়েছে। এসব অপরাধীদের পুলিশ আটক করলেও বিচারকরা জামিন দিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহনকারী আইনজীবীরা। এছাড়াও এই সরকারের আমলে শীর্ষ অনেক সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হয়েছে। অপরাধীদের আটকের পাশাপাশি বিচার নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধ কমবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে গণসংযোগ শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থানে তিনি গণসংযোগ করেন। এছাড়াও বিকালে মাইজখাপন ও মহিনন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে গণসংযোগ ও ট্রাক মার্কার প্রচারণা করেন।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে কিশোরগঞ্জ অনেক বড় বড় নেতা পেয়েছে কিন্তু এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছে। এই তরুণরা প্রমাণ করেছে কোন ভয়ের কাছে তারা আপোষ করে না। এই তরুণদের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। কিশোরগঞ্জের মানুষ আগামী নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্বকে বেছে নিবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ চায় ৫৪ বছরের এই রাজনীতির সংস্কৃতির পরিবর্তন হোক। বিদ্যমান কাঠামোর সংস্কার হোক। পুরোনো ব্যবস্থা এখন আর জনগণ চায় না। মানুষের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সংস্কার করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। যেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল, সেই ফ্যাসিবাদ জনগণ আর মেনে নিবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল, কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী অভি চৌধুরী, সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান, প্রচার সম্পাদক মোমিন উদ্দিন জনি, ছাত্র অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি ইমন খান,সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান প্রমুখ।
Comments
comments