স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মেজর জিয়াকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে…। ইতিমধ্যে আদালত ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছেন। মেজর জিয়ার মাধ্যমে আনসারুল্লাহ বাহিনী দেশের জঙ্গির উত্থানের সৃষ্টি করেছিল। তাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে জেলা পরিষদ আয়োজিত জেলার হরিরামপুরে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এই হত্যা কান্ডের সঙ্গে জরিত থাকায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড ও এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মেজর জিয়া ও আকরামকে আমরা খুজছি কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অন্য কোন দেশে গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান…ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার মমিন উদ্দিন খান।
উদ্বোধন হওয়া ভাস্কর্যটির বিষয়ে জানাগেছে, ভাস্কর্যের বেদী ভূমি হতে ১০ ফুট উচ্চতা তার উপর ভাস্কর্যের পা থেকে ডান হাতের তােলা গ্রেনেড পর্যন্ত ১৭ ফুট মােট ২৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট রড, এঙ্গেল , হােয়াই সিমেন্ট ও এলসি পাথরের সংমিশ্রনে ঢালাই কার্য সম্পাদন করা হয়েছে।
এখানে শিল্পী বাংলাদেশের একজন রনাঙ্গনে যুদ্ধরত মুক্তিযােদ্ধার ভান্ধার্য প্রতিস্থাপন করেছেন যেখানে মুক্তিযােদ্ধার পেশী বহুল শরীর লুঙ্গীর ভাজা দীপ্ত পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা এবং সমুখের চোখে স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ভাস্কর্যের বা হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করা থ্রি নট থ্রি রাইফেল মাথায় বাধা গামছা কোমরে রাইফেলের বুলেট বক্স, বুকে বুলেটের ফিতা সেই সাথে আঙ্গিক গঠনে পা ও শরীরের ক্ষীপ্রতা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে।
Comments
comments