নারী তুমি নানা রূপে প্রকাশ করছো নিজেকে
সহিতে হয় নানা লাঞ্চনা তারপরও থেমে থাকা হয় না তোমার।
যে প্রত্যয়ে মাটির ঘরে পেতেছো আপন সংসার
তা ধরে রাখতে সম্মুখীন হচ্ছো নানা প্রতিকুলতার।
শ্রদ্ধা ভরে যাদের করছো সম্মান তারাই আবার তোমাকে তুমি প্রকাশের বেলায় করছে অপমান ।
বিশেষ কারনে করতে পারছো না সম্পর্কের ছেদ,
ভাব দেখিয়ে যাচ্ছো অনেক সুখে আছো যেন দশে – এক ৷
ধন্য নারী তুমি ভিন্ন রূপে বিচরন তোমার এই ভব সংসারে ৷
কখনো বাবার বাড়ী,
কখনো স্বামীর বাড়ী কখনো ঠিকানা বিহীন ৷
নিজের রক্তে – মাংসে গড়া সন্তান সেও সাধ বাধে চলার পথে তোমার
সৌয়ামী তো দেনমোহরে কিনেছে তাই রেখেছে জিম্মায় ৷
হয় তো পরিশোধ করেছে দেনমোহর নয় তো না;
অথচ লুটে-পুটে ভোগ করছে তোমায় রয়েছো নির্বাক ৷
ঘরে ঘরে এমন বহু নারী বিবাহের নামে হচ্ছে নির্যাতিত ,
জন্ম দিচ্ছে সন্তান পরম যত্নে করছে লালন- পালন
তারপরও নারীর থাকেনা নিজস্বতা নির্ভর হয় অন্যের উপর৷
হা হা হা নারী পতিতা ! নারী বেশ্যা ! নারী নষ্টা !
আত্মার সাথে আত্মার মিলন ঘৃনার হলেও সেটি ভালোবাসা।
থাকে না মোহরানার দায়বদ্ধতা,
থাকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়ানোর বিশালতা।
কবিঃ- শাহীন সুলতানা।
Comments
comments