ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হোসেনপুরে অষ্টমী স্নানে লাখো পূণ্যার্থীর ঢল, উৎসবের আমেজ

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব অষ্টমীস্নানে লাখো পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। ভগবানের কৃপা ও পাপমুক্তির আশায় শিশু ও বৃদ্ধরাও বাদ যায়নি স্নানোৎসব বরণ করতে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল ) ভোর থেকে শুরু হয়ে সকাল ১টা পর্যন্ত হোসেনপুর অষ্টমী স্নানোৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হোসেনপুর উপজেলা শাখা ও পৌর শাখা। সহযোগিতা ছিলেন হোসেনপুর থানা পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক প্রদীপ কুমার সরকার জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গীতাপাঠ, মাল্যজপ, ধ্যান, প্রসাদ বিতরণ, হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যদিয়ে পূণ্যার্থীরা স্নানোৎসব সম্পন্ন করেন। জেলার ১৩টি উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ থেকেও পূণ্যার্থীরা অংশ নেন উৎসবে।

অষ্টমী স্নান পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাশিতা তুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হক, হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: তানভীর হাসান জিকো ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমল চন্দ্র দেব জগাই, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুবল চন্দ্র বনিক তাপস ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এ উপলক্ষ্যে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর, ঐতিহ্যবাহী কুলেশ্বরী বাড়ী ও কাচারী মাঠ ও রামপুর বাজারে বসে অষ্টমীর মেলা। মেলায় দোকানিরা নানা খেলনা, মিষ্টি জাতীয় খাবার ও বাহারি গ্রামীণ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। অষ্টমীর স্নানোৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র উপজেলার সর্বত্রই উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।

কিশোরগঞ্জ শহরের বাসিন্দা সত্যজিৎ সরকার বলেন, পুরো পরিবার নিয়ে স্নান করেছি। প্রার্থনা করেছি- ভালো থাকুক সবাই। মঙ্গল হোক দেশ ও জাতির।

জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্তী বলেন, যেসব অটোরিকশা ছিল, সেগুলোর চালকেরা এক মাসের আয় এক দিনেই করেছেন। মানুষের উৎসব ঘিরে এভাবে ভাড়া বাড়ানো কোনোভাবেই উচিত হয়নি।

হোসেনপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক উজ্জ্বল কুমার সরকার বলেন, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের পর হোসেনপুরের ব্রহ্মপুত্র নদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অষ্টমী স্নানোৎসবে প্রতি বছরই লক্ষাধিক পূর্ণার্থীর আগমন ঘটে। ভোরে ‘হে ব্রহ্মপুত্র মহাভাগ শান্তর্ণ কুলনন্দর্ণ অমুঘা গর্ভ সন্তুতো পাপষ লৌহিত মে হরো’ অর্থাৎ ‘হে ব্রহ্মপুত্র মহাভাগত মোর পাপ মোচন করো’ মন্ত্র পড়ে পুণ্যার্থীরা স্নানকার্য সম্পাদন করেন। প্রতিবছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী এই অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়।

হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব অষ্টমীস্নানে শতাধিক পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় ছিল। প্রত্যেক পূণ্যার্থীকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করেছে যেন পূণ্যার্থীরা সহজেই যাতায়াত করতে পেরেছে।

হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশি পাহারা ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টহল টিম, সাদাপোশাকে পুলিশ দল সক্রিয় ছিল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা ও টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।

Comments

comments