পত্রিকা অফিস হতে তাড়া দিয়ে যাচ্ছে…
লিখা দেন কবি,একুশের লিখা দেন-
অথচ আমি ভাবলাম-একুশের কবিতা, গল্প, শহীদ
বেদিতে পুস্প অর্পণ ইত্যাদিতো আজ নতুন হচ্ছে না!
৬৯ বছর ভর কবিতা হচ্ছে,পুষ্পাঞ্জলি হচ্ছে,দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে শামসুর রাহমান,আল মাহমুদ, সৈয়দ হক এবং আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
মানে তাদের গান এবং কবিতা।
প্রতি একুশে শহীদ মিনারে যাচ্ছে শিশুকিশোর, তরুণতরুণী,চেতনাবাদী এবং রাষ্ট্রসহ সকলেই।
এবং কুড়ি বিশ বছর ধরে…
সারা পৃথিবী বৈ একুশের গলায় সংহতি এবং মর্যাদার মালা পড়ছে অভিনন্দিত হচ্ছে বর্ণমালা বাঙলা।
এটা নিশ্চয়ই সংবাদ হিশেবে গৌরবের;
বাঙালি হিশেবে আত্ম অহংকারের বিষয়ও বটে!
কিন্তু লাভ কী তাতে একুশ কোথায়?
জব্বারেরই রক্তবাণে অর্জিত এই বাঙলা কোথায়?
এখনো আদালত পাড়ায় মূল রায় নাকি অন্যভাষায় ভিন্নসুরে লিখিত রূপ!
এখনো বর্ণমালা বাঙলার শরীরজুড়ে চুক চুক রক্তধারা অনবরত বহে-
তারপরেও বাঙলায় প্রতিবছর একুশ আসে, কবি কবিতা লিখে, চিত্রকর ছবি আঁকে,ভার্সিটির ছাত্ররা দেয়ালে নতুন রঙে চিকা মারে, বছরঘুরে দিনকয়েক গোসল করে এদেশের শহীদ মিনারগুলি।
এইসব কারণে আমার রফিক,শফিউল, সালাম, বরকতের আত্মা কেঁপে কেঁপে কেঁদে উঠে;
এই তবে রক্ত দিয়ে রক্তরঙে কিনে এনেছিলুম আমাদের যৌবনপ্রাণ বিনিময় বাঙলা বর্ণমালা!
মনে রেখো-
সম্পাদক,কবি,অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ,সংগীত শিল্পী এবং বুদ্ধিজীবী এর জন্য তোমরা দায়ী!
তোমাদের লিখার মূল সুর ধরেই আমরা সেদিন প্লেকার্ড-ফেস্টুন বানিয়েছিলাম এবং স্লোগান তুলেছিলাম রাষ্ট্রভাষা বাঙলা চাই!
আজ তবে সর্বত্র বাঙলা চালু করে আমাদের মুক্তি দাও-
ঘুমাতে দাও শান্তিতে এই প্রাণপ্রিয়তম বাঙলায়।
বিশ্বাস করো আমরা ঘুমুতে পারি না!
কবি:- ওয়াসীম ফিরোজ।
Comments
comments