ঢাকাবুধবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পরকীয়া বাধা, কোম্পানীগঞ্জে সেই বৃদ্ধার হত্যাকারী পুত্রবধূ

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!



নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে পরকীয়ার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্বাশুড়ী জহুরা খাতুনকে পুত্রবধু জোসনা আরা বেগম রুনি (৩৬) এবং পরকীয়া প্রেমিক হত্যা করেছিল বলে রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহীদ হোসাইন জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার করে এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেন।

তিনি বলেন, হত্যার সাথে জড়িত পুত্রবধু জোসনা আরা বেগম রুনি ও তার পরকীয়া প্রেমিকের অপর সহযোগি মো. আশিককে (২০) গ্রেফতারের পর তারা হত্যাকান্ডের ঘটনা বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে সোমবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে নোয়াখালীর বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হত্যাকান্ডের শিকার বৃদ্ধা জহুরার পুত্রবধূ রুনি।



পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জহুরা খাতুনের ছেলে মো. ইলিয়াছ দীর্ঘদিন যাবত প্রবাস যাপন করে আসছে। করোনা কালীন সময়ে ছুটিতে দেশে আসে ইলিয়াছ। তার স্ত্রী জোসনা আরা বেগম রুনি একই বাড়ীর এ মামলার অপর পলাতক আসামীর সাথে পরকীয়া প্রেম করে আসছিল। এ নিয়ে প্রায় শাশুড়ী জহুরা এবং পুত্রবধু রুনির সাথে ঝগড়া লেগে থাকতো। শাশুড়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে এ পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। এটা বুঝে যাওয়ার পর পুত্রবধু রুনি ও তার পরকীয়া প্রেমিক জহুরা খাতুনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন জহুরা খাতুনের ছেলে ইলিয়াছের ১ম সংসারের ছেলের (জহুরার নাতি) সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য ঘর থেকে জহুরাকে বের করে নেয় পুত্রবধু রুনি। পরে রুনির পরকীয়া প্রেমিক এবং তার সহযোগি গ্রেফতারকৃত আসামী আশিক ভিকটিম জহুরাকে হত্যা করে বাড়ী থেকে ৪শ মিটার পশ্চিমে ধান ক্ষেতে কাদা পানিতে মাথা ডুবিয়ে লাশ গোপন করে রাখে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন জানান, জহুরা হত্যাকান্ডের মূল আসামী তার পুত্রবধু জোসনা আরা রুনির পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।



Comments

comments