ঢাকাশনিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অসময়ে যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গণ, হুমকির মুখে চৌহালীর পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ৫, ২০২০ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সলিমাবাদ গ্রামের পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অসময়ে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গণের তান্ডবে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। স্কুলটি রক্ষায় ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে যে কোন মূহুর্তে স্কুলটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে ওই স্কুলে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক জাহাঙ্গীর ফকির, মজিবর রহমান, বাবুল আক্তার ও নেক মোহাম্মদ জানান, এ এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গণে নিঃস্ব অসহায় ও হতদরিদ্র। তাদের পক্ষে পয়সা খরচ করে দূরের স্কুলে ছেলে মেয়েদের পড়া-লেখা করানোর সামর্থ নেই। এ স্কুলটি ভেঙ্গে গেলে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এ কারণে স্কুলটি ভাঙ্গণ থেকে রক্ষা করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন জানান, এ বিদ্যালয়টিতে ৪টি গ্রামের নদী ভাঙ্গণ কবলিত হতদরিদ্র পরিবারের ১০৯ জন ছেলে মেয়েরা পড়া-লেখা করে। আশেপাশে আর কোন স্কুল নাই। তাই এ স্কুলটি তাদের একমাত্র ভরসা। এটি ভেঙ্গে গেলে পয়সা খরচ করে দূরের স্কুলে গিয়ে এদের পড়া-লেখা করার মত সামর্থ নেই। ফলে অর্থাভাবে এদের অনেকেরই পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এদের মানবিক বিষয় বিবেচনা করে স্কুলটি রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। স্কুলটির সামনের ভাঙ্গণ কবলিত স্থানে কিছু বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা হলে এ বছর স্কুলটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিষয়টি চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় যে কোন মূহুর্তে স্কুলটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে চৌহালি উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন,এ বিদ্যালয় সহ চৌহালি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম যমুনা নদী ভাঙ্গণের মুখে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। অথচ এ ভাঙ্গণ রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। ফলে এ স্কুল সহ শত শত ঘরবাড়ি,বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন,বিষয়টি আমি চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইল পানিউন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্কুল ঘরটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আপাতত নিরাপদ স্থানে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে জমি পেয়ে সেখানে ঘরটি তুলে স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে। এ সময় পর্যন্ত একটি মালিকানাধিন জায়গায় স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর ভাঙ্গণ রোধে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। তারা এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা তারাই ভাল বরতে পারবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গণ রোধে অচিরেই ওই এলাকায় জিওটেক্স বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই ওই এলাকায় স্থায়ী বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

Comments

comments