ঢাকারবিবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে আশ্রায়ন প্রকল্প ও জনপদ হুমকির মুখে

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১ ৭:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে চাড়াল কাটা নদীর তীরবর্তী উঁচু সন্যাসীপাড়ায় স্তুপ করা বালু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটির সমতল স্তর থেকে গভীর করে খুড়ে নেয়ার কারণে বন্যার পানি ঢুকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়েছে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চাড়ালকাটা নদীর তীরবর্তী এলাকা উঁচু সন্যাসীপাড়ায় স্তুপ করা  বালু পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৫ নং লটটি ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৭ শ’ ৩৫ টাকায় বিক্রি করে দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ঢাকার উত্তর বাড্ডার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিয়াম ট্রেডার্স’র মালিক আবু তাহের সোহাগ কার্যাদেশ নিয়ে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া বাহাগিলী ইউনিয়নের উঁচু সন্যাসীপাড়ার ৩৫ নং লটে মাটির সমতল স্তর থেকে নিচে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট মাটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে খুঁড়ে বিক্রি করে দেন।

এব্যাপারে এলাকাবাসী কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমকে অভিযোগ দেয়ায় তিনি গত ৫ ফেব্রুয়ারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পান।

ওইদিন তিনি ঠিকাদারকে সতর্ক করেন। এরপরেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তা উপেক্ষা করে একইভাবে মাটি খুঁড়ে তা বিক্রি করতে থাকেন। ঠিকাদার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় ফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম ৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে গভীর করা খননকৃত স্থানটি ভরাট করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। ওই দিন বিকালেই সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের একই চিত্র দেখতে পান।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার বলেন, উঁচু সন্যাসী পাড়ার ৩৫ নং লটের স্থানটি ভরাট করা না হলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে ওই এলাকার অনেক ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ সহ বাড়ীঘর ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার আবু তাহের সোহাগ বলেন, আমি পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেখে ২৫,৩৫ ও ৩৬ নং লট টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্রয় করি। পরে বাস্তবে ৩৫ নং লটে ১২ লাখ ২২ হাজার ৭ শ’ ১৫ ঘনফুট বালুর স্থলে শতকরা ১০ ভাগ বালু পাই। ওই স্থানটি মাটির সমতল স্তরের নিচে বালুময় হওয়ায় খানিকটা বালু খনন করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই স্থানটি ভরাট করবো।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,উঁচু সন্যাসীপাড়ার ৩৫ নং লটটি ভরাট করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। ওই লট ভরাট করা না হলে বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন আমি ইউ এন ও কে বলে দিয়েছি তারা যদি না মানে। বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হবে।প্রয়োজনে আপনারা কলম ধরেন। খনন কৃত বালু ভরাট করে দিতে হবে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে।

Comments

comments