ঢাকারবিবার , ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নানা সংকটের আবর্তে কিশোরগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ১, ২০১৯ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রায় সাড়ে ১২ একর জায়গা নিয়ে ১৯৬৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় হর্টিকালচার সেন্টার। সেন্টারটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু বছরখানেক ধরে বিভিন্ন ধরণের সংকট যেনো পিছুই ছাড়ছে না। অবশ্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষরা সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করছেন জলবদ্ধতাকেই।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীনগর, শ্রীধরখিলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেনের পানি এসে জমা হয় হর্টিকালচারটির অর্ধেক জায়গা জুড়ে। জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ১০০টির মতো মাতৃগাছের গোড়া পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পড়েছে। দীর্ঘদিন ময়লা পানির জলাবদ্ধতার কারণে মাতৃবাগান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিন আর রাত নেই বখাটেদের চলাফেরা যেন কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও এর প্রতিকার মিলছে না। শেড, পর্যাপ্ত জনবল না থাকার কারণেও সৃষ্টি হয় নানা ধরণের সমস্যা।

হর্টিকালচার সেন্টার অফিস সূত্র জানায়, সার্কিট হাউজে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় সাবেক উপ-পরিচালক মোঃ আলামিন মহামান্য রাষ্ট্রপতিকেও এ সংকটের ব্যাপারে অবগত করেছিলেন। বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আংশিক মাটি ভরাট করা হয়েছে। লিচু জাতীয় মাতৃবাগান করা হয়েছে। যা এখন বিভিন্ন সংকটের কারণে মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় কৃষি বিভাগের আওতাধীন এই হর্টিকালচার সেন্টারটির প্রায় অর্ধেক নিজস্ব নিচু জমিগুলোতে এখনও মাটি ভরাট করে কৃষি কাজের উপযোগি করে তুলতে পারেনি। ফলে এই হর্টিকালচার সেন্টারটি থেকে মানুষ তাদের কাংখিত উন্নত জাতের ফলের চারা সংগ্রহ করতে পারছে না।
horticulture centerহর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ জয়নুল আলম তালুকদার জানান, যে জায়গাগুলোতে জলাবদ্ধতার কারণে গাছগুলো পঁচে যাচ্ছে সেখানে মাটি ভরাট করতে পারলে হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। সংকটগুলো সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ীর প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মেহেদী মাসুদকে অবগত করা হয়েছে। উনি অতি শ্রীঘ্রই এর ব্যবস্থা নেবেন।

Comments

comments