ঢাকাসোমবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চে অবৈধ দখল বাড়ছে, উচ্ছেদ অভিযান নেই

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ ৬:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা লেকসিটির গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চের আশপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ভাড়া দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। দিন দিন অবৈধ দোকানপাট বাড়লেও কেন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না—এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্ররোচনায় এসব ভাসমান দোকান দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গজিয়ে ওঠা এসব টং দোকান কারও তোয়াক্কা করে না। ঘুরতে আসা সাধারণ জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছে। অথচ পৌরসভার কেউ জানেন না, কারা এই টাকা ওঠায়। তাঁরা বলেন, এই জায়গা তাঁদের আওতার মধ্যে পড়ে না। বর্তমানে এই মুক্তমঞ্চের আশপাশের জায়গার কোনো অভিভাবক নেই। যে যেভাবে পারছেন ব্যবহার করছেন। তদারকি করার কেউ নেই। এর পেছনের সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা-কর্মী ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মচারী দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এসব দোকান ভাড়া দিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিটি দোকান স্থাপন করার সময় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। দোকান ভাড়াসহ সব মিলিয়ে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক দোকানি বলেন, প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়।

এ ছাড়া প্রতিটি দোকানেই রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। এ থেকে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এদিকে শত শত দোকানপাটের নানা বর্জ্য নদীসহ কলেজ মাঠে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। নির্মল এলাকাটি হয়ে যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর।

এদিকে বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব যেন নিত্যসঙ্গী এই মুক্তমঞ্চে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা দর্শনার্থীরা প্রায়ই ছিনতাইয়ে শিকার হচ্ছেন। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এর চারপাশ। সবকিছুই আবর্তিত হচ্ছে মুক্তমঞ্চসংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ঘিরে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সমন্বয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি এ এম ওবায়েদ বলেন, এখানে অপরিকল্পিতভাবে শত শত অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে, এসকল খাদ্য সামগ্রীর দোকানের ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলার কারণে গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন নদীটি নোংরা ময়লা আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে নদীটিতে কচুরিপানায় সয়লাব। প্রতি শীতে যেখানে লাখ লাখ অতিথি পাখির সমাগমে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হতো সেই নরসুন্দা নদীটিতে বর্তমানে অতিথি পাখি নেই বললেই চলে। সার্বিক দিক বিবেচনায় ও প্রকৃতির নির্মলতার স্বার্থে সবকিছুকেই একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।

কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম মোস্তাকুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পৌরসভা কতৃপক্ষ সবাই আন্তরিক হলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চের নির্মল হাওয়ায় খানিকটা সুন্দর সময় অতিবাহিত করার পরিবেশ তৈরি হবে। কলেজের জায়গাও দখল করে ফেলতে চাচ্ছে অনেকেই। কলেজের জায়গা যেন দখলমুক্ত থাকে সেজন্য খুব শীঘ্রই বাউন্ডারি করে ফেলা হবে।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া বলেন, নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এখন উনি এ বিষয় নিয়ে কি ভূমিকা রাখেন তা বলতে পারছি না।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা শহরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চের আশপাশের জায়গাও এর বাইরে না। সামনের সমন্বয় সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, নরসুন্দা লেকসিটি একটা মেগা প্রকল্প। আমার ভাই মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যেভাবে এই নরসুন্দা লেকসিটির সৌন্দর্য বর্ধণ করতে চেয়েছিলেন সেভাবেই নরসুন্দা লেকসিটির সৌন্দর্য বর্ধণ করা হবে।

Comments

comments