ঢাকাশুক্রবার , ২৯ মে ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতের আগমন, চীনের পতন

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ২৯, ২০২০ ৭:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আমি অনেকটা নিশ্চিত ছিলাম চীন -ভারত কখনোই যুদ্ধে জড়াবে না। কারন, ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে একটা চুক্তি হয়েছিল, চুক্তিটা এমন- “ভারত আর চীনের মধ্যে একটা সমঝোতা আছে যে যতই মতভেদ হোক, সীমান্তে উত্তেজনা কোনও দেশই বাড়তে দেবে না”।দুটো দেশের মধ্যে এরকম সিদ্ধান্ত রয়েছে যে ফ্রন্ট লাইনে যেসব সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবেন, তাঁদের কাছে কোনো রকম অস্ত্র থাকবে না। যদি সেনা র্যাঙ্ক অনুযায়ী কোনও অফিসারের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা নিয়ম হয়, তাহলে তার নল মাটির দিকে ঘুরিয়ে রাখা থাকবে। আপনি যদি দুই দেশের সেনাদের যুদ্ধগুলোর ভিডিও দেখেন, দেখবেন তারা বাচ্চাদের মত কুস্তি করছে। সূএ: [BBC বাংলা]

তো চীন এতো দিন এমন কাহিনী কেন করল??? প্রশ্নটা আপনার মনে আসতেই পারে। যার আসল রহস্য পাকিস্তানের PoK ( Pakistan occupied Kasmir) নিয়ে ভারতের নয়া প্লান। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আবহাওয়া বার্তাও সম্প্রচার করছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। ইউটিউব এ দেখে থাকবেন অমিত সাহা পক কে ভারতের অংশ বানানোর জন্য সংসদ এ প্রস্তাব করেছিলেন। তার এই প্লান ধরে Pok এর আবহাওয়ার খবর ভারতে দেখানো হয়। এটা পাকিস্তান সেনাদের ওপর একটা সংকেত হিসাবে কাজ করবে। কারন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও ভারত আক্রমন করার আগে বাংলাদেশের আবহাওয়ার খবর দেখানো শুরু করে। যার অর্থ, অতি তাড়াতাড়ি পাকিস্তান সেনার শরীরের তাপমাএা কমিয়ে দেওয়া হবে যুদ্ধুের মাধ্যমে। সূএ : ইন্ডিয়া ডিফেন্স বাংলা ইউটিউব চ্যানেল।

সেদিক থেকে ভারত সাম্প্রতি প্রায় ৭ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে কাশ্মীর সিমান্তে। যা ক্রিকেটার আফ্রিদির কথা স্পষ্ট উঠে এসেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘পৃথিবী এখন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। কিন্তু মোদীর মনে এর চেয়েও বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।কাশ্মীরে তিনি ৭ লাখ সেনা মোতায়েন করেছেন।’ ৭ লাখ সেনা মানে পাকিস্তানের মোট সেনার সমান। এ জন্য খুবই চিন্তিত ইমরান খান সরকার। সে সাহায্যে জন্য বিশ্বের অনেক দেশের কাছে আবেদন করেন।

এবং পাশে পেয়েছেন চীনকে। যেহেতু চীনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন খুবেই ভালো সাথে পাকিস্তানে চীনের ইকোনমিক করিডর খুবেই গুরুত্বপুর্ণ। তাই চীন এই মহামারির মধ্যেও ভারতে সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। যদিও আজ মানে ২৮ মে অবস্থা অনেটা শান্ত হয়েছে চীন ভারত সীমান্তে।

চীনের এই যুদ্ধ বিরতি শেষ পরিনিত কি তাহলে??? PoK নিয়ে কি তাহলে আবার যুদ্ধ হবে পাকিস্তান ভারতের মধ্যে। সেখানে চীন কারো পক্ষ নিবে কি আবার? সবকিছুর উপরে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠা দৃঢ় পরিকল্পনা। যা ভারতের মানচিত্রে বড় কোন পরিবর্তন আনতে পারে। হয়তো ভারত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া তথা এশিয়া সুপার পাওয়ার। ইতিমধ্যে চীনের অর্থনীতি ধ্বসের মুখে পড়তে শুরু করছে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি ভারত, লাওস, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যার ফলে এশিয়ায় চীনের আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে সঙ্কট তেরি হচ্ছে। চীন প্রায় ৩৫ লাখ কোটি টাকার লোকসানে পড়তে যাচ্ছে। যেখানে চীনের ২০ শতাংশ কোম্পানি ভারতে আসতে পারে। ভারতও প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোদমে। তারা গুজরাট, তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ এ লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমি ছেড়ে দিচ্ছে ওই সব কোম্পানির জন্য।

এসব দিক বিবেচনা করলে, সামনের বছরগুলোতে ভারত এশিয়া রাজত্ব বসতে যাচ্ছে। পরিবর্তনটা হয়তো অর্থনৈতিক এর সাথে সাথে ভূগলিক দিকটাতেও আসবে।

 

জয়নাথ মন্ডল
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট, 
কুমিল্লা বিশ্বববিদ্যালয়।

Comments

comments