ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ জুন ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ১৬, ২০২০ ২:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে। কাজের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকতার্রা উপস্থিত না থাকায় এ অনিয়ম হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্র কাযার্লয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রের জরুরী বিভাগ, এক্সরে রুম সংস্কার, অটি রুম (অপারেশন থিয়েটার) সংস্কার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস সংস্কার, পুরোনো বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার, টাইলস লাগানো, মুল ভবনের  দরজা জানালা সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় লালমনিরহাট সদরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোজাম্মেল এন্টার প্রাইজ।

হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজের শুরু থেকে ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। মুল ভবনের পুরোনো ও ভাঙ্গা দরজা জানালা পরিবর্তন করে শিল কড়াই অথবা গামারী কাঠ দিয়ে নতুন করে দরজা জানালা করার কথা থাকলে ঠিকাদার তা না করে পুরোনো দরজা জানালা মেরামত করে দিচ্ছে। আবার কিছু কিছু দরজা জানালার দু একটি কাঠ পরিবর্তন করলে সেখানে ইউক্লিপটাস অথবা নিম কাঠ ব্যবহার করেছেন।

সাইদুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,  বর্তমান সরকার কোটি টাকা ব্যায় করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে একটি এক্য্ররে মেশিন দিয়েছে। কিন্তু এক্য্ররে রুমটি ব্যবহার অনুপোযোগী হওয়ায় কারনে গত দুই বছর থেকে হাসপাতালের এক্য্ররে রুমটি বন্ধ ছিল।  সাধারণ রোগীরা তারাগঞ্জ কিংবা রংপুর গিয়ে এক্য্ররে করাতেন। বর্তমানে সেই এক্সরে রুমটি সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং বৈদ্যুতিক সংযোগে নিম্নমানের উপকরন ব্যবহার করে সংযোগ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা যুব সংহতির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, হাসপাতালের মুল ভবনের অপারেশন থিয়েটারের ছাদ চুইয়ে পানি পরার কারনে  ছাদে নতুন করে আরসিসি প্যাটেন ষ্টান ঢালাই দেয়া হচ্ছে। ঢালাইয়ে সময় কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় ঠিকাদার রাবিস এবং পরিত্যাক্ত খোয়া ব্যবহার করে ঢালাই দিয়েছেন। মেশিনে মিক্স করে ঢালাই করার কথা থাকলে মেশিন না এনে হাতে মিক্স করে ঢালাইর কাজ করা হয়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছেনা। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

কাজের তদারকি কর্মকর্তা নীলফামারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম হলে কিংবা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকলে তা অব্যশই দেখা হবে।

Comments

comments