দেশে পলিথিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবেশের মারাত্মক বির্পযয় দেখা দিয়েছে। পরিবেশ দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় গোপনে অবৈধভাবে পলিথিন বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। এই সব অবৈধ পলিথিন আশ-পাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কটিয়াদী সদরসহ ধুলদিয়া, মসূয়া, করগাঁও, বনগ্রাম বাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিনের সয়লাব। এমন কোন দোকান নেই যে, সেখানে পলিথিন পাওয়া যায়না। পাশাপাশি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করায় বিভিন্ন ড্রেনে আবর্জনা ফেলার ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে কটিয়াদী পৌরসভার আর্বজনা ফেলার কারনে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পলিথিন তৈরিতে এক প্রকার পদার্থ ব্যবহার করলে অল্পদিনের মধ্যে ঐসব পলিথিন পচে যায় এবং মাটির সঙ্গে মিশে যায়। কিন্তু ঐ পদার্থ পলিথিন তৈরিতে ব্যবহার না করায় পলিথিনগুলি পচেনা ও মাটির সাথে মিশ্রিত হয়না।
কটিয়াদী বাজারের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দোকানদার বলেন, নাম বলতে পারবো না এমন কিছুলোক এ বাজারে পলিথিন প্যাকেট বাজারের দোকানদার নিকট সরবরাহ করে থাকেন। আমরা তাদের নিকট থেকে কিনে খুচরা, পাইকারি বিক্রিসহ ভোক্তাদের মাঝে সরবরাহ করি।
এদিকে, স্থানীয় সচেতন সমাজ বলছে, বিষয়টির দিকে সরকারি তরফ থেকে কঠোর নজরদারি করা হলে আবারো বন্ধ হবে নিষিদ্ধ পলিথিন প্যাকেটের ব্যবহার। তাতে উন্নতি হবে পরিবেশের। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহল ও পরিবেশবাদি সংগঠনগুলি অবৈধ পলিথিন উৎপাদন কারীদের বিরুদ্ধে ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Comments
comments