স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করতে হয়। এছাড়া প্রসবকালীন ও পরবর্তী সময়ে জটিলতা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কিশোরগঞ্জে গর্ভবতীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। পুরো জেলায় বর্তমানে ৪৬ হাজার ৫০০ জন নারী সন্তানসম্ভবা। সংক্রমণের ভয়ে এসব নারীর নিয়মিত মেডিকেল চেকআপই প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীরা গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যের নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন । যেকোনো শারীরিক অসুস্থতায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকরাই তাদের সেবা দেবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একজন গর্ভবতীকে অন্তত চারবার চেকআপ করাতে হয়। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বর্তমানে কেউ সেবা নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে চাইছেন না। বিশেষ প্রয়োজনে অধিদপ্তরের মাঠকর্মীরা গিয়ে তাদের সেবা দিচ্ছেন। এসব নারীর সেবা দিতে মাঠপর্যায়ে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ৪৯ জন, মাঠ কর্মী ৯৭ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৪২১ জন এবং ফার্মাসিস্ট ৪ জন কর্মরত আছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অরবিন্দ দত্ত বলেন, গর্ভবতী নারীদের ঘরে থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিচ্ছি, এ সময়টায় কোনো অবস্থায় তারা যেন ঘরের বাইরে না আসেন। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্লিনিক থেকে আমাদের মাঠকর্মীরা তাদের সেবা দিয়ে আসছেন। মাঠকর্মীদের ফোন নম্বর তাদের কাছে দেয়া আছে। কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ের কর্মীরাও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন।
কিশোরগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হোসনা বেগম বলেন, গর্ভবতী নারীদের সেবা দেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল খোলা রাখা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগ খোলা থাকবে। মা ও তার গর্ভের শিশুর রক্ত সঞ্চালন ও হার্টবিট, ডেলিভারি কবে নাগাদ হবে— এসব সেবা নিতে তারা এখানে নিয়মিত এসে থাকেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কোনো গর্ভবতী নারী এখানে সেবা নিতে আসছেন না। তবে তাদের সেবা দিতে এ হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রস্তুত আছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
Comments
comments