ঢাকাসোমবার , ৯ নভেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাকুন্দিয়ায় আইন লঙ্গনকারীদের কাছে আতঙ্ক  উপজেলা সহকারি কমিশনার একেএম লুৎফর রহমান

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ৯, ২০২০ ৩:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমানের ছুটেচলা থামাতে পারেনি করোনা নামক ভয়ংকর মরণব্যাধি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে। অংশ নিয়েছেন সচেতনমূলক নানা কার্যক্রমে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে করেছেন জরিমানা-কারাদণ্ড।

যোগদানের পর থেকে তিনি পাকুন্দিয়ায় আইন লঙ্গনকারীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন। নিজ অফিসে আগতদের সেবা প্রাপ্তি সহজ করার পাশাপাশি অবৈধ মাটি ব্যাবসায়ী, ভেজাল খাদ্য বিক্রেতা, জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছেন।

অবৈধদের কাছে তিনি আতঙ্কের হলেও স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষের কাছে এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়। তাঁর সবগুলো আইনী পদক্ষেপকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন।

একেএম লুৎফর রহমান গত ০৮-০৮-২০১৯ সালে পাকুন্দিয়ায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন। সহকারী কমিশনার  হিসেবে প্রথমে কক্সবাজার ডিসির অফিসে যোগদান করেন বিসিএস এর ৩৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা এই কর্মকর্তা।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, একেএম লুৎফর রহমান পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গত ১৪ মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইন লঙ্গনের  অপরাধে ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। এছাড়া নানা অপরাধে জড়িত থাকায় বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২২ লাখ ৮ শত ২০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। নিয়মবহির্ভূত ব্যাবসা করার অপরাধে সিলগালা করেছেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

সূত্রটি জানান, উপজেলার বিভিন্ন নদী-নদী তীরবর্তী এলাকায় এক শ্রেণির মাটি লুটেরারা দীর্ঘদিন ধরে মাটি লুট করে বিক্রি করে আসছিল।

একেএম লুৎফর রহমান যোগদানের পর সরকারি সম্পত্তি  বিনষ্টের এসব ঘটনা জানতে পেরে একের পর এক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করনে এবং মাটি লুটেরারা ধরে জেল জরিমানার পাশাপাশি নদী থেকে মাটি উত্তোলনের ড্রেজার ধব্বংস করেন।এছাড়া জুয়ারী ও মাদককারবারীকে ধরে জরিমানা আদায় ও জেলও প্রদান করেন। করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে করেছেন জরিমানা-কারাদণ্ড।
ভূমি অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, একেএম লুৎফর রহমান যোগদানের পর থেকে দিন-রাত, কাঠফাঁটা রোদে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে বা সরকারি বন্ধে যেখানেই আইন লঙ্গনের ঘটনার খবর পেয়েছেন সেখানে ছুটে গিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আইন লঙ্গনকারীদের দিচ্ছেন সাজা। আদায় করছেন জরিমানা।

এদিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমানের একের পর এক আইনী প্রদক্ষেপ আইন নেয়ায় উপজেলার আইন লঙ্গনকারীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাটি ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসা করবো কি এসিল্যান্ড লুৎফর রহমানের নাম শুনলেই গায়ে জ্বর উঠে যায়। ধরলেই জেলা জরিমান দেন।

তবে অবৈধদের কাছে তিনি আতঙ্কের নাম হলেও স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষের কাছে এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়। তাঁর সবগুলো আইনী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তরিকুল হাসান শাহীন বলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমানের মতো প্রত্যেক কর্মকর্তা যদি সরকারি স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট হয় তবে কোন মতেই দুর্নীতি করা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের দরজা জনসাধারণের জন্য সবসময় খোলা আছে এবং থাকবে। জনসাধরণের জন্য কাজ করতে এসেছি। কাজটি সঠিকভাবেই করে যাবো। সরকারি স্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষায় তার এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

Comments

comments