- ">
“১৯৬০ এর দশকের দিকে ভারতে সবুজ বিপ্লবের কারণে দেশটির খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পরে। কিন্তু এ ঘটনা ভূমিকে বন্ধ্যাত্ব করে ফেলে। `বিশেষ করে ব্যাপকহারে পানির ব্যবহার বেড়ে যায়। এতে করে মাটির নিচের পানি কমতে থাকে। পাশাপাশি রাসায়নিক সারের ব্যবহারও বাড়তে থাকে।`
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরে দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে। পানির সংকট ও মাটির বন্ধ্যাত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখানকার অসংখ্য কৃষক এই পেশা থেকে দূরে সরে আসে। `তারা কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পরে। এছাড়া তাদের আয়ের অধিকাংশ অংশই রাসায়নিক সার কেনায় ব্যয় হয়ে যায়। ফলে লাভ্যাংশ তেমন একটা হচ্ছিল না।
ফ্রান্স২৪ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকবছর পূর্বে ‘জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং’ নামে একটি প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার।| যা কৃষিভূমির সম্পূর্ন চেহারাই পাল্টে ফেলে। এই প্রকল্পের মূল প্রতিপাদ্য খুবই সহজ। আর তা হলো- রাসায়নিকের ওপর নির্ভরতা কমাও এবং জমির পুনরুদ্ধার করো।
এরপর থেকেই রাজ্যটি এর পজেটিভ ফলাফল পেতে শুরু করে। বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে ৩০ শতাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রকল্পটি চালু করার পর বিগত পাঁচ বছরে সেখানে এক ধরনের বিপ্লব চলে এসেছে।| যা রাজ্যটিকে ভারতের ১০০ শতাংশ অর্গানিক ফার্মিং প্রদেশে রুপান্তরের পথে রয়েছে।”..
Comments
comments