ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ আগস্ট ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাঃ এগারসিন্দুর দুর্গ

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ২০, ২০২০ ৫:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!



কিশোরগঞ্জ জেলার দক্ষিণ পশ্চিমে ১১টি নদীর মোহনায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের উপজেলাটি নাম পাকুন্দিয়া। যার উত্তরে হোসেনপুর ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিনে কাপাসিয়া ও মনোহরদী উপজেলা এবং পূর্বে কটিয়াদী উপজেলা আর পশ্চিমে গফরগাঁও উপজেলা। উপজেলাটির আয়তন ১৮০.৫২বর্গ কি.মি.। এই উপজেলায় উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্হান গুলি পরিচিত অপরিচিত অনেক পর্যটকদের আকর্ষক করার মতো স্থান আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে অনেক ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রত্মতাত্বিক নিদর্শন হচ্ছে বাংলার বার ভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁর দুর্গ, ঐতিহাসিক সাদী মসজিদ, ঐতিহাসিক মাহমুদের মসজিদ ও বালাখানা, ঐতিহাসিক সালংকা জামে মসজিদ, হর্ষি জামে মসজিদ বেবুদ রাজার দীঘি, বৈষ্ণব চূড়ামনি শ্রী শ্রী বংশীদাস বাবাজীর আশ্রম, অধিকারী মঠ সহ ব্রিটিশদের অত্যাচারী শাসনের সাক্ষী হয়ে ধংশ স্তুপে পরিনত নীল কুঠির।



এগারসিন্দুর দুর্গ :

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১১ কিঃ মিঃ দূরে মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে ১১টি নদীর মোহনায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে উঁচু শক্ত এঁটেল লাল মাটির এলাকা ব্যবসা বাণিজ্য ও বসবাসের স্থান হিসেবে বিবেচিত হয় বিধায় গঞ্জের হাট নামে প্রসিদ্ধ ছিল। গঞ্জের হাট ১১টি নদীর সংগমস্থলে ছিল বিধায় তখনকার জ্ঞানী লোকেরা ১১টি নদীকে সিন্দু নদ আখ্যায়িত করে গঞ্জের হাট থেকে স্থানটির নামকরণ করা হয় এগারসিন্দুর। এটি ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছিল। তবে এগারসিন্দুর দুর্গ-কে নির্মাণ করেন তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেহ বলেন রাজা আজাহাবা আবার কারো মতে বেবুদ রাজা এবং কারো মতে রাজা গৌর গ্যেবিন্দ। সুলতানী আমলের পরই এগারসিন্দুর এলাকাটি কোচ হাজংদের অধিকারে চলে যায়। বাংলার বার ভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ কোচ হাজং রাজাদের পরাজিত করে এগারসিন্দুর দুর্গটি দখল করেন। এ দুর্গ থেকেই পরবর্তীতে মোঘল সেনাপতি রাজা দুর্জন সিংহ ও পরে রাজা মানসিংহকে পরাজিত করতে সমর্থ হন। তখন থেকেই দুর্গটি এগারসিন্দুর ঈশাখাঁর দুর্গ নামে পরিচিত।



Comments

comments