রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সুমী বেগম (২৫) নামের এক যৌনকর্মী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ জনিত কারণে মারা গেছে। সে কয়েকমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বাচ্চা নষ্ট করার জন্য সে নিজেই ডাক্টারের পরামর্শ ছাড়াই ঔষুধ খায়। এতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁচ্ছানোর পূর্বেই সে মারা যায়।
সুমী, সুজন খন্দকার ও ঋতু বাড়িওয়ালীর বাড়িতে ভাড়া থাকতো। বাড়ীয়ালী জানায়, সুমি তার বাড়িতে বেশ কয়েক বছর যাবত ভাড়া থাকতো। কয়দিন ধরে সুমী শারিরীক ভাবে অসুস্থ। তাই প্রাথমিক চিকিৎসাও নিচ্ছিল। সে কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল সেটা আমাকে কখনো জানায়নি। সে পেটের সন্তানকে এ্যাবোশন করার জন্য নিজে নিজেই গোপনে ঔষুধ খেয়েছিল। যার ফলে কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রোববার রাতেও বেশ রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এতে শরীর ক্রমেই নিন্তেজ হয়ে যায়। আমরা তাকে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসি।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাকে দেখে শুনে জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছ। মৃত্যুকালে সুমি বেগম তার ১০ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে গেছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে শরীয়াহ মোতাবেক দাফন করা হয়েছে, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
Comments
comments