ঢাকাবুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্রিজ কার স্বার্থে!

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০ ৪:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্রিজ আছে সড়ক নেই, ব্রিজের এক প্রান্তে সড়ক অন্যপ্রান্তে বিশাল পুকুর। কার স্বার্থে প্রায় চব্বিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিন বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছিল এই ব্রিজটি ! এই প্রশ্ন জনসাধারণের। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এই ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার হোসেন্দী কলেজের সাথে পাদুয়াখালী খালের উপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের মে মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকুন্দিয়া থেকে হোসেন্দী হয়ে পাটুয়াভাঙ্গা যাওয়ার রাস্তায় হোসেন্দী কলেজের উত্তর পুর্ব কোনায় পাদুয়াখালী খালের উপর  একটি পুরাতন ব্রিজ আছে তার ২০ গজ পশ্চিমে তিন বছর আগে আরো একটি ব্রিজ নির্মান হয় এক প্রান্তে রাস্তা অন্যপাশে পুকুর থাকায় ২৪ লক্ষ টাকার এই ব্রিজটি তিন বছরে চব্বিশ পয়সারও কাজে আসেনি।

স্থানীয়রা জানান, যদি কলেজের পুকুরটিতে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে পুরাতন ব্রিজের উপর দিয়েই যাওয়া যায়, এই পুকুরটি রাস্তার পাশেই আছে। উপজেলায় এমন অনেক স্হান আছে যেখানে এমন একটি ব্রিজ হলে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের ব্যাবস্থা হতো। এখন এই ব্রিজটি কোন কাজেই আসছেনা।

হোসেন্দী আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রাকিব উদ্দিন মোশায়েব বলেন, কলেজের উওর পাশে পাদুয়াখালী নদী তার অপর প্রান্তে পুকুরটি কলেজের। ঐ পুকুরটিতে কলেজের ক্যাম্পাস ও আবাসিক ভবন হওয়ার পরিকল্পনায় কলেজের গেটের সম্মুখ দিয়ে খাল পাড় হয়ে সহজে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্যই এই ব্রিজটি নির্মান করা হয়। তবে কবে নাগাত ভবন হবে তা জানা নেই কলেজ অধ্যক্ষের। যার কারনে কোন কাজে লাগছেনা প্রায় চব্বিশ লক্ষ টাকায় নির্মিত ব্রিজটি।

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান আকন্দ বলেন, সরকারি টাকা খরচ করে অহেতুক নির্মান করে এই ব্রিজটি যা পুকুর চুরির মতো। এই ব্রিজটি তিন বছরে কোন কাজে আসেনি। কেন নির্মান করেছে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় তাহা আমার জানা নেই।

পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তা মোঃ রওশন করিম বলেন, নদীর দুই পাশে সড়ক আছে ব্রিজ নেই জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধে হয় এমন অগুরুত্বপূর্ণ স্হানে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ব্রিজ নির্মাণ করে থাকে। হোসেন্দী কলেজের সামনে পাদুয়াখালী নদীর উপর ব্রিজটি নির্মানের সময়ে আমি দায়িত্বে না থাকায় কেন কোন প্রয়োজনে নির্মান হয়েছিল তাহা আমার জানা নেই।

প্রতিনিধি (পাকুন্দিয়া) কিশোরগঞ্জ 

Comments

comments