ঢাকাবুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০ ৮:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার গ্রামীন অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। উপজেলা পিছিয়ে পড়া গ্রামীন জনগোষ্ঠীর শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে ৪১টিরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের এখন আর অপ-চিকিৎসার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছেনা। তাই এই অঞ্চলের প্রায় সাড়ে চার লাখ প্রাণ বাঁচাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলায় বর্তমানে ৪১টি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এর মধ্যে কটিয়াদী পৌরসভায় ৬টি, আচমিতা ইউনিয়নে ৫টি, চান্দপুরে ৪টি, বনগ্রামে ৫টি, জালালপুরে ৩টি, মসূয়ায় ৪টি, সহশ্রাম ধূলদিয়ায় ৪টি, লোহাজুরীতে ২টি, করগাঁও ৪টি, মুমুরদিয়ায় ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গত মাসে ( জানুয়ারি) এখান থেকে প্রায় ৪০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করা হয়েছে হাজারের বেশি রোগীকে।

কটিয়াদী চরপুক্ষিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শমিরুল ইসলাম বলেন, তার এখানে দৈনিক গড়ে প্রায় ৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। চর-বেতাল কমিউনিটি ক্লিনিকের বদরুল হায়দার বলেন, আমরা সাধারন রোগী সেবা, বাচ্চাদের শুন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সেবা, গর্ভবতী মায়েদের ডেলিভারী সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা রয়েছে। চর-আলগীর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন, আমার এখান থেকে ২৭ প্রকারের ওষুধ দেওয়া হয় । প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। আর রোগীর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অনত্র রেফার করার জন্য বলা হয়। পাশাপাশি সব ধরনের পরামর্শমুলক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এখান থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন চরপুক্ষিয়া গ্রামের আমেনা খাতুন (৬৩)। তিনি বুকে ব্যাথা, সর্দী ও কাশিতে ভুগছেন দীর্ঘদিন। অবশেষে চরপুক্ষিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভালো আছেন তিনি। মিনারা বেগম (৫৮) চোখে সমস্যা ছিলো বহুদিন। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে তাকে। শুধু আমেনা খাতুন, মিনারা বেগম নয়, এমন অনেক অসহায় নারী এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছেন।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা নিতাই ঘোষ বলেন, গত কয়েক দিন যাবত হাঁপানি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছেন। তার পক্ষে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে এসেছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ-পত্র পেয়ে খুশি তিনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জালালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সামসুল আলম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হওয়ার ফলে ঝাড়-ফোক-তাবিজ-কবিরাজি ইত্যাদি অপচিকিৎসা অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে অবহেলিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কাজ করছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবার কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধান ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম এই উদোগ এখানে ব্যাপক সফলতা অর্জন করছে। ক্লিনিকগুলোতে আন্তরিক পরিবেশে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

 

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি  

Comments

comments