ঢাকাশনিবার , ২১ মার্চ ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পাকুন্দিয়াবাসী

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ২১, ২০২০ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী।

পৌরবাসীদের অভিযোগ, সম্প্রতি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে ডেঙ্গুসহ মশা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। অথচ এর প্রতিকারে পৌরসভার পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।

পাকুন্দিয়া পৌরসদর বাজার, শ্রীরামদী, লক্ষিয়া, হাপানিয়া, দিয়াপাড়াসহ প্রায় সবকটি এলাকায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার পর মশার কারণে কোথাও বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। ক্ষতিকর হলেও মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করে কিছুটা স্বস্তি নিশ্চিত করছে মানুষ। মশা নিধনে পৌরসভার পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি তাদের।

এর আগে গত বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পৌরসভার পক্ষ থেকে ডেঙ্গু মশা নিধনে ওষুধ ছেটানো হয়। কিন্তু এবারে এমন কোন উদ্যোগ এখনো দেখা যাচ্ছে না। সড়ক-আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে জলাবদ্ধস্থান, উপজেলা পরিষদের ড্রেন, পাকুন্দিয়া হাসপাতালের পাশের খাল, ময়লার ভাগাড় সহ বিভিন্ন স্থানে মশার বিস্তার ঘটছে। অসহনীয় হয়ে উঠছে জনজীবন।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পাকুন্দিয়া বাজারের ব্যাবসায়ীরা জানান, মশার বংশ বিস্তারের জায়গাগুলোতে ওষুধ প্রয়োগ না করায় এদের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যার পর থেকে দোকানে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় টেকা দায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে দিনে-রাতে মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করছেন। তবে চিকিৎসকরা বলেন, নিয়মিত মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও হুমকিস্বরূপ।

পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ এলাকার একাদিক বাসিন্দা জানান, পাকুন্দিয়া বাজারের বিভিন্ন রকমারি হোটেল, কারখানার দূষিত বজর্যপানি আশপাশের খাল-বিল -পুকুরে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দূষিত পানিতে ব্যাপক হারে মশা বংশ বিস্তার করছে। সন্ধ্যা হলে বেড়ে যায় মশার প্রকোপ। মশার কারণে কোনো কাজকর্ম করা যাচ্ছে না। এতে মানুষের বিভিন্ন রোগব্যাধি হতে পারে। মশার স্প্রে ও মশার কয়েল ব্যবহার করেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশের ড্রেন, ডাকবাংলার সামনের সড়কের উপর পানি, হাসপাতালের পূর্ব পাশের খালে, ময়লার ভাগাড় যেন মশা বংশবিস্তারের অভয় আশ্রম।

এ অবস্থায় পৌরসভা কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে পৌর মেয়ের আক্তারুজ্জামান খোকন জানান, সরকারী ভাবে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কোন বাজেট নেই। সরকারি নির্দেশনা ও বরাদ্দ আসিলে পৌরসভা কাজ শুরু করিবে।

হুমায়ুন কবির, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

Comments

comments