কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলায় এক মাসে ২০ লক্ষ টাকার গরু চুরি, কৃষকরা দিশেহারা। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চৌদ্দশত ইউনিয়নে ৭ ওয়ার্ডের কাজিরগাঁও গ্রামে গত কাল ২০ শে মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে হারুন মিয়ার ২টি গরু চুরি হয় যার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা। একই রাতে বাবলু মিয়ার ১টি গাভী বাচুর সহ ও ১টি ষাঁড় নিয়ে যাওয়ার সময় ফজরের নামাজের মুসল্লীদের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু রেখে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং দুটি ওয়ার্ড থেকে ১মাসের মধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার গরু চুরি হয়। কাজিরগাঁও লিটনের ২টি গরু প্রায় ৩ লক্ষ টাকা, রতনের ৩টি গরু প্রায় ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, হারুনের ২টি গরু প্রায় ১ লক্ষ টাকা, বাবলুর ৩টি গরু প্রায় ১ লক্ষ টাকা, মতলবপুর হায়ুমের ২টি গরু প্রায় ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, জালুয়াপাড়া হুমায়ুনের ১টি গাভী বাছুর সহ ১লক্ষ টাকা, আমেনা খাতুনের ৩টি গরু ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, গোবিন্দপুরে আঃ ছালামের ৩টি গরু ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, রুসমত আলীর ১টি গরু ৫০ হাজার টাকা এছাড়াও পাকুন্দিয়া পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলিয়ার বুলবুলের ৩টি গরু প্রায় দেড় লক্ষ টাকা, কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ২টি গরু প্রায় দেড় লক্ষ টাকা, নোয়াগাঁও আঃ হাসিমের ২টি গরু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, কায়েস্থপল্লীর ২টি বাড়ি থেকে ৪টি গরু চুরি হয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা এতে মোট প্রায় ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার গরু চুরি হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তুলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ৯নং চৌদ্দশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ,বি,ছিদ্দিক খোকার নিকট ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা আছে এবং আমি এ ব্যাপারে পাহাড়াদারের ব্যবস্থা করেছি এর পরও এসব চুরির ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে বনগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিলন এর নিকট ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন আমরা সাদা পোশাকে পাহাড়াদারের ব্যবস্থা করেছি।
কৃষক হারুন মিয়া জানান আগামী কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে আমি গরু পালন করছি। আমার গরু দুটি চুরি হওয়ায় আমি ছেলে মেয়ে সংসার নিয়ে কি ভাবে চলব খুবই চিন্তিত। এ ব্যাপারে এলাকা বাসী আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।