২৩ দিনের এক শিশুকে ঘিরে নাটোরের বড়াইগ্রামে চলছে নানা গুঞ্জন। স্থানীয়রা শিশুটিকে বিক্রির কথা বললেও পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পরিবারের দাবি শিশুটিকে দত্তক দেয়া হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামের ভ্যান চালক রেজাউল করিম তার ২৩ দিনের শিশু কন্যাকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সরাইকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে দিয়ে দেন। মাত্র ২৩ দিনের শিশুকে অন্যের কাছে দিয়ে দেয়ার বিষয়টি সোমবার প্রকাশ হয়ে পড়লে এ নিয়ে সৃষ্ঠি হয় চাঞ্চল্য। এলাকায় গুঞ্জন ওঠে ভ্যান চালক রেজাউল করিম এলাকার আব্দুস সামাদের কাছ থেকে সুদে বেশ কিছু টাকা নেন। সেই টাকা শোধ করতেই অর্থের বিনিময়ে শিশুটিকে দত্তক প্রদান করা হয়েছে। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি উভয় পরিবার অস্বীকার করেছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কয়েন গ্রামের ভ্যান চালক রেজাউলের আগে ২টি সন্তান রয়েছে। তৃতীয় সন্তান হওয়ার পর তাকে সঠিক ভাবে লালন পালনের জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে দত্তক প্রদান করেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই শিশুটিকে দত্তক দেয়া-নেয়া হয় জানিয়ে ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর মুখ থেকে বিষয়টি শোনার পর পুলিশ গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি তদন্ত করে। পুলিশ উভয় এলাকায় গিয়ে এবং পরিবার দু’টির সাথে কথা বলে শিশু বিক্রির কোন তথ্য প্রমাণ পায়নি। এ নিয়ে উভয় পরিবার বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।