অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২৩ দিনের কন্যা শিশু চাঁদনি মায়ের কোলে ফিরেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ উপস্থিত থেকে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েন গ্রামের রেজাউল করিম ও ফুলজান বেগম দম্পত্তির ৫ ও ৮ বছর বয়সী দুই ছেলের পর কন্যা শিশু চাঁদনির জন্ম হয়। তৃতীয় সন্তান হওয়ার পর তাকে সঠিকভাবে লালন পালনের জন্য গত সোমবার পাবনার এক নিঃসন্তান শিক্ষক দম্পতির কাছে দত্তক দেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই শিশুটিকে দত্তক দেয়া-নেয়া হয়। মাত্র ২৩ দিনের চাঁদনিকে অন্যের কাছে দিয়ে দেয়ার বিষয়টি সেদিনই প্রকাশ হয়ে পড়লে এ নিয়ে সৃষ্ঠি হয় চাঞ্চল্য। এলাকায় গুঞ্জন ওঠে ভ্যান চালক রেজাউল সুদের টাকা পরিশোধ করতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি উভয় পরিবার অস্বীকার করে। বিষয়টি অবগত হয়ে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি তদন্ত করে। পুলিশ উভয় এলাকায় গিয়ে এবং পরিবার দু’টির সাথে কথা বলে শিশু বিক্রির কোন তথ্য প্রমাণ পায়নি। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ উদ্যোগ নিয়ে শিশুটিকে দত্তক নেয়া বাবা মার কাছ থেকে এনে প্রকৃত বাবা মার কাছে ফিরিয়ে দেন।
চাঁদনির মা ফুলজান বেগম জানান, বাচ্চা দত্তক দিয়ে খুবই হাহাকারের মইধ্যে ছিলাম। ডিসি স্যারের উদ্যোগে ছাওয়াল ফিরে পাইছি। আমি খুবিই খুশি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, দরিদ্রতার জন্য রেজাউল ও ফুলজান দম্পত্তির তাদের শিশুকন্যাকে দত্তক দিয়েছিল। বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বাচ্চাটিকে এনে তার মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদনীর পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা, বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসাবে প্রদান করেছি। একই সাথে চাঁদনীর পরিবারকে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে জমি সহ ঘর, একটি অটোভ্যান, দুস্থ ভাতা কার্ড প্রদান করবো।