ঢাকাশুক্রবার , ২১ মে ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৪২০ মিলিয়ন বছর পুরাতন মাছ!

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ২১, ২০২১ ৫:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

“প্রায় ৪২০ মিলিয়ন বছর ধরে থমকে আছে এই মাছটির বিবর্তন। ডাইনোসরেরও বহু আগে পৃথিবীতে বাস ছিল এই মাছের। তবে এমন মাছ যে এখনো বেঁচে আছে, সে কথা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছে সবাই। বিজ্ঞানীদের জানা মতে, “প্রায় ১০০ বছর আগেই বিলুপ্তি হয়েছে কোয়েলাকান্টের নামের মাছটি। তবে সম্প্রতি মাদাগাস্কারের সমুদ্র-উপকূল থেকে কিছু দূরে সন্ধান পাওয়া গেল এই জীবন্ত জীবাশ্মের। যা আবারো ভাবিয়ে তুলেছে গবেষকদের।”

সম্প্রতি মাদাগাস্কারের মৎস্যজীবীদের একটি দল অন্যান্য দিনের মতোই সমুদ্রে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল গভীর সমুদ্র থেকে হাঙর শিকার করা। ভারত মহাসাগরের হাঙরের বাজারদর বেশ চড়া। তবে সহজে পাওয়া যায় না বলে শিকারি দলটি সঙ্গে নিয়েছিল একটি অত্যাধুনিক গিলনেট। সমুদ্রস্তর থেকে কয়েকশ’ মিটার নিচ থেকে হাঙর ধরা সম্ভব এই জাল দিয়ে। তবে হাঙরের বদলে যে প্রাণীর সন্ধান তারা পেলেন, তার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরাই। প্রায় ৩৫০-৪০০ মিটার নিচে যে প্রাণীটিকে পাওয়া গেল, তা আর কিছু নয়, কোয়েলাকান্ট।

* “প্রায় ৪২০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব হয় এই সামুদ্রিক মাছটির। তখনও ডাইনোসরের আবির্ভাব হয়নি। সেসময় প্রাণীজগতকে শাসন করছে জলচররাই। কোয়েলাকান্ট সেই সময়ের এক অতি শক্তিশালী মাছ। ডাইনোসর বিলুপ্ত হলেও এই মাছ টিকে যায়।…শেষ ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই প্রাণীটির খোঁজ রেখেছিলেন। তারপর থেকে আর কোয়েলাকান্টের সন্ধান পাওয়া যায়নি।”

তাকে বিলুপ্ত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। আবারও সন্ধান পাওয়া গেল এই বিরল প্রজাতির প্রত্ন-মৎস্যের। নতুন করে কোয়েলাকান্টের সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার সংরক্ষণের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।| সাউথ আফ্রিকান জার্নাল অব সায়েন্স পত্রিকায় এই নিয়ে একটি প্রবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে।‍π আর এই মাছের আবিষ্কারের মধ্যেই তার বিপদের আশঙ্কাও লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করার জন্য গিলনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব উঠেছে বহুবার।’ আর এবার এই জাল পৌঁছে গেল সবচেয়ে বিপন্ন প্রত্ন-মৎস্যের বাসস্থানেও। কোয়েলাকান্টকে বাঁচাতে গেলে তার বাসস্থান চিহ্নিত করে সেখানে মানুষের সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।”…

Comments

comments