ভৈরবে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসা ৫ জন কে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টায় পৌর এলাকার চন্ডিবের কালিপুর ও উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রাম থেকে দুইজন পুরুষ, দুইজন নারী ও একটি বাচ্চা আটক করা হয়।পরে তাদের সবাইকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসে এলাকাবাসী।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বুলবুল আহমেদ।
জানা যায়, সারা বিশ্বের মহামারি ভাইরাস করোনা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে হটস্পট জায়গা হল নারায়নগঞ্জ। বর্তমানে করোনা প্রতিরোধে এ জেলাকে ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়া-দুটোতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে প্রশাসন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিনজন পুরুষ ও দুই নারী নারায়ণগঞ্জ থেকে ভৈরবে চলে আসেন। যেহেতু তারা নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে তাই করোনা সন্দেহে এলাকাবাসী তাদের কে আটক করে শহরের কমলপুর এলাকার ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসে।
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বুলবুল আহমেদ আরো জানান, রাত প্রায় ১টা। করোনা কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে জরুরি মিটিং করে মাত্র বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই দেখি কল। হসপিটাল থেকে কল করে আমাকে বলছে নারায়ণগঞ্জ থেকে এক পরিবার ভৈরবে পালিয়ে এসেছে। এলাকাবাসী তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে এসেছে । তাদের ৫ জনের মাঝে ৫ বছরের একটি ছেলে বাচ্চা, ২ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা । তখন আমি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নির্দেশ দিলাম পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ওদের থাকার ব্যবস্থা করতে। রাতেই সঠিক উপায়ে তাদের পড়নে থাকা কাপড় পাল্টিয়ে তাদের ব্যবহৃত জিনিসগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে সকাল ৭টায় তাদের দেহে করোনাভাইরাস আছে কিনা তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা ৫ জনই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
আফসার হোসেন তূর্জা, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
Comments
comments