ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ এপ্রিল ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লবনে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ৯, ২০২০ ৯:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনা পরিস্থিতির কারণে লবনশিল্প খাতে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। অনেকটা বেকার সময় কাটাচ্ছেন লবন চাষীরা। উৎপাদিত লবনের দামও নেই। খোলা মাঠে পড়ে আছে রক্ত ঘামে মিশ্রিত ‘সাদা সোনা’ নামের দেশিয় এই সম্পদ। আর দালাল ফঁড়িয়াদের হাতে জিম্মি হয়েছে আছে প্রান্তিক চাষিরা। নামে মাত্র দামে লবন বিক্রি করেও মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছে টাকা নিয়ে। সব মিলিয়ে বর্তমান লবন শিল্প চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে।

বাংলাদেশে সমগ্র কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার বাশঁখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলে লবন উৎপাদন হয়। যা দিয়ে সারা দেশের লবনের চাহিদা পুরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে লবন উৎপাদনের ভরা মৌসুম। আবহাওয়া লবন উৎপাদনে সম্পূর্ণ অনুকূলে আছে।

গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার লবন চাষী ১০ দশমিক ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন লবন উৎপাদন করেছে। যা গত মৌসুমের এসময়ের চেয়ে দশমিক ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন বেশি। আবহাওয়ার এ অবস্থা বিরাজ করলে এবারও বাম্পার ফলন হবে।

কিন্তু বিশ্বজুড়ে আঘাত করা করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতের ন্যায় লবনশিল্প খাতও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সারাদেশ লকডাউনের কারণে সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক লবন চাষীদের ঘরে অবস্থান করে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশি সময় দিতে হচ্ছে। কিন্তু মাঠে লবন রেখে তা সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।

আবার প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করার ফলে যানবাহন না চলায় বিভিন গদি/লবন ক্রয়-বিক্রয় স্পটে লবন ক্রেতা না আসতে পারায় ঠিকমত লবন বিক্রিও সম্ভব হচ্ছেনা, উৎপাদিত লবন মাঠেই পড়ে আছে। ফলে লবন মাঠে প্রায় ৮ লক্ষ মেট্রিক টন লবন অবিক্রিত অবস্থায় অরক্ষিতভাবে পড়ে আছে। যে কোন সময় বড় ধরণের বৃষ্টিপাত বা ঘূর্ণিঝড় হলে মজুদ লবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই শঙ্কার ফলে লবন চাষীরা তাদের উৎপাদিত লবন ক্রেতা পেলেই অনেক ক্ষতিতে অর্থাৎ উৎপাদন খরচের চেয়ে (উৎপাদন খরচ ২৪৫টাকা/প্রতিমণ, বর্তমান বাজার মুল্য ১৫১ টাকা। ২৪৫-১৫১= ৯৪ টাকা কম) কমে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে লবন শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র লবন চাষীদেরবে বিশাল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটেল হিসেবে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা তাদের উৎপাদিত লবন সরক্ষণ করতে পারেন।

যদি এই ক্ষুদ্র লবন চাষীদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয় তাহলে এই ক্ষতির কারণে চাষীগণ লবন উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবেন। আর তাহলে লবন হয়ে যাবে আমদানি নির্ভর। তখন এই পণ্যের বাজার সাধারণ মানুষের হাতের নাগলে ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, লবন চাষীদের উৎপাদিত লবণে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ থেকে প্রণোদনা প্রদান করে দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কিছু অংশসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার চাষযোগ্য লবন জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ৫৯৬ একর।

গত বছর থেকে ভালো দাম না পাওয়ায় এ বছর বেশ কিছু জমিতে লবন চাষ হচ্ছে না। এ বছর লবণের চাহিদা ১৮ দশমিক ৪৯ লক্ষ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে ১৬ দশমিক ৫৭ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে লবণের উৎপাদন ছিল ১৮ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন।

জেলায় বর্তমানে মাঠে লবন উৎপাদনে জড়িত ৪৪ হাজারের বেশি কৃষক পরিবার। নভেম্বর থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ছয় মাস লবন উৎপাদন মৌসুম।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Comments

comments