ঢাকাশুক্রবার , ২৬ আগস্ট ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেচের অভাব রোপা আমনে; দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ২৬, ২০২২ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চলছে ভাদ্র মাস, রোপা আমন চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাংলার অন্যতম খাদ্য গুদাম হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ জেলায় রোপা আমন চাষে পড়েছে লোডশেডিং ও তাপদাহের বিরুপ প্রভাব। দৈনিক ১৫-১৬ ঘন্টা লোডশেডিং থাকার কারণে সেচের পানির অভাবে ব্যহত হচ্ছে রোপা আমন চাষাবাদ। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সেচের পানির অভাব হচ্ছে না। অন্যদিকে এ বছর তীব্র তাপদাহের কারণে মাঠেও পুড়ছে রোপা আমন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত কিশোরগঞ্জে চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২,৬১৭ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৫৬,১২৪ হেক্টর। এর মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৩৮০ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৮১২৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫৭৫ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৭৯৩৭, পাকুন্দিয়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯৩৫ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৯০১০ হেক্টর, কটিয়াদী উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৮৬৫ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৯৬২০ হেক্টর, করিমগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৮৭০ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৭০৮০, তাড়াইল উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪৮০ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৫৯৬০, ইটনা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬০ হেক্টর তার বিপরীতে এখন পর্যন্ত আবাদ হয়নি, মিঠামইন উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬০ হেক্টর তার বিপরীতে এখনো আবাদ হয়নি, নিকলী উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০৫ হেক্টর তার বিপরীতে এখনো আবাদ হয়নি, অষ্টগ্রাম উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৭৫ হেক্টর তার বিপরীতে এখনো আবাদ হয়নি, বাজিতপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০১৭ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৪৬৯৫ হেক্টর, কুলিয়ারচর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭৬০ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৩৩৬০, ভৈরব উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৩৫ হেক্টর তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ২৬৭ হেক্টর।

সরজমিনে বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতের পর ক্ষেত সবুজে ঢেকে আছে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত সেচের পানি ও তীব্র তাপদাহে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে সাধারণত বৃষ্টির পানি জমিতে জমে থাকে। মূলত জমে থাকা পানিতে কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সদ্য রোপণ করা ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাতেগোনা কিছু কৃষক সেচের ব্যবস্থা করে ধানের চারা রোপণ করছেন। অধিকাংশ কৃষক বৃষ্টির পানির জন্য অপেক্ষা করছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সেচের মাধ্যমে পানি দিতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। বাড়তি খরচের কারণে দিন দিন দুঃশ্চিন্তা বেড়েই চলছে। কৃষকেরা জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মসজিদগুলোতে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলেরও আয়োজন করছে কৃষকেরা।

কৃষকেরা বলছেন, ধানের চারা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। পানির অভাবে আমরা রোপা আমন চাষাবাদ করতে পারছি না। অনেকেই আবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র তাপদাহে ধানের চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। এমন চলতে থাকলে ঘরে ফসল তুলতে পারবো না এবং প্রান্তিক কৃষকদের লোকসানের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারোসিন্দুর ইউনিয়নের দাওরাইত গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, লোডশেডিং বেড়ে যাবার কারণে সেচে সমস্যা হচ্ছে। আবার জ্বালানি তেলেরও মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে যার ফলে বাড়তি খরচে হিমশিম খাচ্ছি। দুঃশ্চিন্তায় আছি কি হয় যেন?

করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের কৃষক নাইম বলেন, আমাদের শ্যালো মেশিন নাই তাই সেচ দিতে পারছি না। ভাড়া করে এনে যদি সেচ দেই তবে খরচ পোষাবে না। বৃষ্টিই আমাদের একমাত্র সম্বল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, বৃষ্টি হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কৃষকের ক্ষতি যেন না হয় সেক্ষেত্রে আমাদের দপ্তর দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শনিবার (২৭ আগস্ট) থেকেই সেচের ব্যবস্থা কার্যকর হবে। সেচের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আমরা নির্ধারণ করবো রাতে নাহয় দিনে।

Comments

comments