ঢাকাবুধবার , ৩১ আগস্ট ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উলফা নেতা মেজর রঞ্জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ৩১, ২০২২ ৮:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটক হওয়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সামরিক শাখার নেতা রঞ্জন চৌধুরী (৫৮) ও তার বাংলাদেশী সহযোগী সহযোগী প্রদীপ মারাককে (৬৮) দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ কামাল হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই উলফার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মেজর রঞ্জন ও প্রদীপ মারাক কিশোরগঞ্জে আটক হন। ওই দিন ভোর পৌনে ৫টার দিকে র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল ভৈরব পৌরসভার লক্ষ্মীপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁদের আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি গুলি, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি নাইন এমএম পিস্তল, চারটি হাতবোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) করিম উল্লাহ ওই দিনই অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রঞ্জন ও প্রদীপের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেন। আটকের পরপরই তাঁদের ঢাকার র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে মেজর রঞ্জন নিজেকে উলফা নেতা হিসেবে স্বীকার করেন।

তদন্ত শেষে র‍্যাবের এস.আই মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ কামাল হোসেন এ রায় দেন। রাস্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য যে, রঞ্জন চৌধুরী ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়া জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসূদন রায়ের ছেলে। ১৯৯৫ সালে নিজের দেশে এক বছর কারাভোগ শেষে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গজনীতে বসত গড়ে ১৯৯৭ সাল থেকে উলফার কার্যক্রম শুরু করেন। গজনীতে কাজ করার সময় ২০০১ সালে তিনি স্থানীয় নারী সাবিত্রি ধ্রুমকে বিয়ে করেন। রঞ্জন উলফার তিনটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন।

রঞ্জনের সহযোগী স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ মারাক ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে। তিনি শেরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করতেন। পরে তিনি রঞ্জনের সহযোগী হিসেবে উলফার কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন।

Comments

comments