কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকা। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার ও সাধারণ গ্রাহকদের কাছে এ টাকা পায় পিডিবি। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক সুবিধা নিয়ে একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী এত টাকার বিল বকেয়া ফেলে রাখার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। তবে পিডিবি বলছে, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে নিয়মিত নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে পিডিবির মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার। এর মধ্যে প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৫। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলসংক্রান্ত ৭০০ মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলার কারণে গ্রাহকের কাছে প্রায় ৭ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮৪ লাখ টাকা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৯ লাখ টাকা, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ১০ লাখ টাকা, জেলা কারাগারের ১৭ লাখ টাকা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১১ লাখ টাকা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির ২১ লাখ টাকা, কিশোরগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের ৯ লাখ টাকা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১ লাখ টাকা, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ১১ লাখ টাকা এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ৬ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী এসব প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, নিয়ম মেনে সরকারি বরাদ্দের টাকা থেকে সমন্বয় করে আগের বকেয়া ধাপে ধাপে পরিশোধ করে যাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই কোটি টাকার ওপরে ভৌতিক বিল দিয়েছে পিডিবি। এগুলো সংশোধন হলেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ।
সমাজ ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ভুপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক দোলন বলেন, মাঝেমধ্যে পিডিবি কর্তৃপক্ষ লোকদেখানো বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযান চালালেও অধরা থেকে যান মোটা অঙ্কের বিলধারীরা।
পিডিবির কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘গ্রাহকদের নোটিশ দিচ্ছি এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছি। আশা করছি, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সবাই পরিশোধ করবেন।’
Comments
comments