ঢাকাবুধবার , ১২ এপ্রিল ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ১২, ২০২৩ ২:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় গাঁজা সেবনের বাধা দেয়ায় রিক্সা চালক মোঃ শামীমকে শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন। এ মামলার অন্য তিন আসামির বয়স জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জীবন কুমার রায়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৮) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আমাটি শিবপুর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। এ হত্যা মামলার অন্য তিন শিশু আসামি হলেন, সদর উপজেলার আমাটি শিবপুর গ্রামের মোঃ ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবির হোসেন ওরফে জনি, মোঃ মন্নাছের ছেলে মোঃ আলামিন, লাল মিয়ার ছেলে মোঃ সাজন। অন্যদিকে নিহত শামীম একই এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোঃ শামীম ২০১৫ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আমটি শিবপুর গ্রামে শফিকুল ইসলাম, আবির হোসেন, আলামিন ও সাজনকে গাঁজা সেবনে বাধা দেন। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে শামীমের সাথে মারপিট করেন এবং মনের মধ্যে ক্ষোভ জমিয়ে রাখেন। পরে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে শামীম তার দুলাভাইয়ের ব্যাটারি চালিত রিকসা চালানো শেষ করে বাড়িতে ফেরার সময় শফিকুল ইসলাম, আবির হোসেন, আলামিন ও সাজন পথরোধ করেন। এ সময় আসামিরা শামীমের মুখ, চোখ, হাত বেধে মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামিরা শামীমের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শামীমের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ২০১৫ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর হাসপাতালে নেয়ার পথে শামীম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় শামীমের চাচা মোঃ মানিক বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ৪ জনের নামোল্লেখ ও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবীব আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী জীবন কুমার রায় এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী লুৎফর রশিদ রানা।

রায় ঘোষণার পরে আসামিপক্ষের স্বজনরা বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

নিহত শামীমের চাচা মোঃ মানিক বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালত আবারও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিভাবে পারলো ওরা আমার ভাতিজার শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করতে। গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় ছিল আমার ভাতিজার দোষ।

Comments

comments