ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সৌদি আরবে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে পাকুন্দিয়ার ছেলে নিহত

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ২০, ২০২৩ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুম মিয়া (২৬) নামের এক ব্যক্তি সৌদি আরবে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে নাইট ডিউটি করা অবস্থায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোঃ মাসুম মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের রুপসা গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে। নিহতের স্বজনরা বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের চাচাতো ভাই মোঃ রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আব্দুল্লাহ আল মাসুম মিয়া ৮ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। পরে গত ৭ মাস আগে তিনি জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে যান। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার (১৯ এপ্রিল) মাসুম ওয়ার্কশপে যান কাজ করতে। পরে দিবাগত রাতে হঠাৎ গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে মাসুমের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

নিহতের বাবা আলফাজ উদ্দিন বলেন, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মাসুম দ্বিতীয়। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য মাসুম প্রবাসে যায়। আমার ছেলের দেহটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এমন মৃত্যু যেন কারও না হয়। তার মরামুখটাও দেখতে পারবো কিনা জানি না। আমরা চাই আমার ছেলের মরদেহটা দেশে নিয়ে আসুক।

নিহতের চাচাতো ভাই মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ মাসুম মিয়া আমার চাচাতো ভাই। তিনি গতরাতে সৌদি আরবের দাম্মামে নিজ কর্মস্থলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মাছুম দায়িত্বশীল, বিনয়ী, নম্র, ভদ্র ছিল। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যগণ খুবই মর্মাহত। শোকাহত এই পরিবারের একমাত্র দাবি সন্তানের লাশ যে কোন উপায়ে দেশে আনা হউক। এই জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে সহায়তা কামনা করছি।

পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ঝুটন বলেন, আমার সাথে নিহতের পরিবার এখনো যোগাযোগ করেনি। আমরা মরদেহ দেশে ফিরিয়া আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, আমি পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা চাইলে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

Comments

comments