ঢাকাশনিবার , ২৯ জুলাই ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে আশুরায় তাজিয়া মিছিল, শোকের মাতম

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ২৯, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তাজিয়া মিছিল, প্রতিকী তলোয়ার যুদ্ধ আর জারিগান, তবারক বিতরনের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জে পবিত্র আশুরা পালিত হযেছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব সীমান্তে বৌলাই এলাকায় ৩৬০ আউলিয়ার নবম বংশধর প্রয়াত পীর সৈয়দ শাহ আকবর আলী হোসাইনী চিশতির মাজার প্রাঙ্গণে আশুরা উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার (২৯ জুলাই) আশুরার দিনে সকাল থেকেই ছিল নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে নানা বয়সের হাজারো ভক্ত আর মুরিদের সমাগম। বিশাল প্যান্ডেলে লাল সালু পরিহিত শিশুদলসহ বিভিন্ন জারিদল মরমি জারিগানের তালে তালে মাতম করছে। প্রতিকী দুলদুল ঘোড়া, প্রতিকী তলোয়ার এবং তাজিয়া নিয়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসাইন’ ধ্বনিতে বের হয় তাজিয়া মিছিল। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় মাজার প্রাঙ্গনে আসলে কারবালার যুদ্ধের অনুকরণে শুরু হয় প্রতিকী তলোয়ার যুদ্ধ। এছাড়া আয়োজন করা হয় মিলাদ মাহফিলের। বিতরণ করা হয় তবারক।

মাজার কমিটির সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭০ বছর আগে এখানকার পীর সৈয়দ শাহ আকবর আলী হোসাইনী চিশতি মারা যাবার পর বংশানুক্রমে বর্তমানে গদিনাসীন পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারই সর্বকনিষ্ঠ ছেলে সৈয়দ নূরুল আউয়াল তারা মিয়া। তার বাবার আমল থেকে প্রতি বছরই এই মাজারকে কেন্দ্র করে পবিত্র আশুরা পালিত হয়ে আসছে। দূরদূরান্তের ভক্তরা এখানে আসেন। এবারও আশুরা উপলক্ষে জেলার অন্যতম বৃহৎ এই আয়োজনে অন্তত ২০ হাজার ভক্ত-মুরিদানের সমাবেশ ঘটে। পহেলা মহররম থেকে প্রতিদিন এখানে জারিগান এবং তবারক রান্নার আয়োজন করা হয়। ভক্ত আর মুরিদরাই এসবের আয়োজন করে থাকেন। আকবর আলী হোসাইনী চিশতির ছেলে প্রয়াত সৈয়দ শাহ আব্দুল আউয়াল চিশতি প্রথম এখানে তরফিয়া জারিদলের মাধ্যমে জারিগানের প্রবর্তন করেন। এর ধারাবাহিকতায় মহরম এর দশ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন মহরমের শোক জারি পরিবেশন করা হয়।

বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির বর্তমান বংশধর পীরজাদা সৈয়দ ইয়াছিন বলেন, ইমাম হোসাইন (আঃ) এর যে অত্যাচার হয়েছে তার একটা চিত্র আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ‘মহররম শুধু মুমিনের পরিচয় নিয়ে আসে না, এই মহররম চিনিয়ে দেয় কে হোসাইনি মুসলমান আর এজিদি মুসলমান। কারবালার কাহিনী নিয়ে মুর্ছিয়া জারী, মাত্তম শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটা অনেক আগে থেকেই বাঙালী মুসলমান তথা এদেশের সংস্কৃতির অবিচ্ছ্যদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান করায় জেলা পুলিশকে বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

Comments

comments