ঢাকাশুক্রবার , ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গর্ভবতী স্ত্রীকে জুতা তৈরির হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা- আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩ ৯:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্ত্রীকে জুতা তৈরীর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথার মগজ বের করে হত্যার ঘটনায় স্বামী মোঃ ফয়েজ উদ্দিন (৪১) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রিয়াজুল কাউছরের আদালতে ১৬৪ ধারায় ৪ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০) কে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে রাজধানী ঢাকার লালবাগের নবাবপুর ক্লাবপাড়া এলাকা থেকে ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা। গ্রেপ্তার আসামি মোঃ ফয়েজ উদ্দিন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে নিহত সেলিনা বেগম ঘাতকের স্ত্রী।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের পিবিআই এর উপপরিদর্শক আবু কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০১ সালে সেলিনা বেগম ও মোঃ ফয়েজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মোঃ ফয়েজ উদ্দিন নিজ বাড়ীতে জুতা তৈরী করে বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করত।

উপপরিদর্শক আবু কালাম জানান, ফয়েজ উদ্দিনের বিভিন্ন নারীর সাথে পরকীয়ায় প্রেম ছিল। এসব নিয়ে সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। গত ৩১ জুলাই রাতে ফয়েজ উদ্দিন তার গর্ভবতী স্ত্রীকে ৪ ডজন জুতা কাগজে প্যাকেট করার জন্য বলে। জুতা প্যাকেট না করায় পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী সেলিনা বেগম (৪০) এর মাথায় জুতা তৈরীর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথার মগজ বের করে মৃত্যু নিশ্চত করে।

আবু কালাম জানান, এ ঘটনায় গত ১ আগস্ট নিহতের ছোট ভাই নাহিদুল ইসলাম (২৮) বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ফয়েজ উদ্দিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ভৈরব থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। পরে পিবিআই সিডিউলভূক্ত হওয়ায় থানা পুলিশের তদন্তাধীন অবস্থায় কিশোরগঞ্জ পিবিআই গত ২০ আগস্ট মামলাটি অধিগ্রহন করে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই ফয়েজ উদ্দিন পালিয়ে যায়। কিছুদিন চট্টগ্রাম বসবাস করে। পরে ঢাকায় চলে যায়। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জবানবন্দি শেষে ফয়েজ উদ্দিনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

Comments

comments