ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ, তিন বছরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৪৬ জন

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ২৩, ২০২৪ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক। প্রতিদিন ও রাতে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে এ ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রতিদিন ও রাতে কোনো না কোনো স্থানে ঘটছে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানা, পাকুন্দিয়া থানা, কটিয়াদী থানা, বাজিতপুর থান, কুলিয়ারচর থানা ও ভৈরব থানায় নথিভুক্ত মামলা থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৬৪টি দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সব দুর্ঘটনায় যে থানায় মামলা হয়েছে তা বলা যায় না।

যাত্রীরা বলছেন, যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো, উল্টোপথে যান চলাচল, নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর অবাধ চলাচল, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল, রাস্তা পারাপারে পথচারী-সেতু না থাকা, ট্রাকে ও বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন, পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণহীন মোটরবাইক চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে ওভারটেকিং, রাস্তার উপরে গাড়ি পার্ক করে রাখাসহ বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এছাড়া এ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই দেবে ও ফুলে ড্রেনের মতো হয়ে গেছে। এমনকি সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর ভাঙা।

প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর ভাঙাচোরার কারণে রাস্তাটি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তাটিতে চলাচল করতে হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন গুণ বেশি সময় লাগছে।

এদিকে, সড়কটির বেহাল দশায় যাতায়াত করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ফলে অজানা আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। খানাখন্দের ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে যানবাহনগুলোতেও দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে যাত্রী ও মালামাল বহনকারী যানবাহনগুলোকে।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআরটিএ) কিশোরগঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। এরমধ্যে বড়পুল এলাকা থেকে কটিয়াদী উপজেলা অংশের দূরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার। এই ২৭ কিলোমিটার সড়কে বাঁক রয়েছে ৪১টি। শুধু পুলেরঘাট বাজার থেকে কটিয়াদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে বাঁক আছে ২৫টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে অন্তত ৭টি। গত তিন বছরে ঘটে যাওয়া ১৬৪টি দুর্ঘটনার ৭০ ভাগ দুর্ঘটনায় ঘটেছে সড়কে খানাখন্দ, সড়ক দেবে যাওয়া, ফেঁপে যাওয়া, ভাঙাচোরা সড়ক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল, চালকদের অসচেতনতা ও অতিরিক্ত বাঁকের কারণে।

সূত্র জানায়, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়। এরপর শর্ত অনুযায়ী তিন বছর সড়কের কোনো ধরনের ক্ষতি হলে মেরামত করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত দুই বছর কোনো ধরনের সংস্কার কাজ হচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনা রোধে চালকদের সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত সেমিনার করি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন, সড়কের যে সকল অংশে সমস্যা রয়েছে তাঁর সমাধানকল্পে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অতি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, দুর্ঘটনা রোধকল্পে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে জন-সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ড্রাইভারদের লাইসেন্সসহ অন্যান্য বিষয়ে আইন প্রয়োগে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সড়কসমূহ সংস্কার, রোড সাইন স্থাপন, দুর্ঘটনা স্থান চিহ্নিত করে বিভাজন তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Comments

comments