কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার রাস্তা গুলোতে চলতে গিয়ে হোঁচট খাওয়া নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। প্রতিদিন চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। পৌরসভার উদাসীনতা, সংস্কারের অভাবসহ একাধিক কারণে সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির হাল এখন নিতান্তই খারাপ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়ে শুধু আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সব থেকে খারাপ অবস্থা কটিয়াদী আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজ রোডের। অথচ শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা এই রাস্তার উপরেই রয়েছে একাধিক স্কুল ও কলেজ। কিন্তু কয়েক যুগ ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় পিচ উঠে গিয়ে এখন ছোট আকারের পুকুরে পরিনত হয়েছে। বৃষ্টির পানি গর্তগুলোতে জমে থাকায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু যান চলাচলই নয়, যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে কলেজ ছাত্রী জেবা রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। অথরিটি যেন সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেন সেই দাবি জানাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা জগরুল হোসেন আকাশ জানান, ‘এই সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ মুমূর্ষ রোগীরা চলাচল করতেন। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পানি জমে থাকায় এখন পুকুরে পরিনত হয়েছে।’
অটোচালক কাসেম মিয়া বলেন, ‘পৌরসভার হনেক সড়কই ভাইঙা গেছে। আমাদের চলাচল করতে হনেক সমস্যা হয়। গাড়িরও অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এই সড়কগুলো দ্রুত ঠিকঠাক করে দেওয়া দাবি জানাই।’
কটিয়াদী পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহিলা কলেজের সড়কটি আমাদের স্কিনে আপাতত নেই। সড়কটি এখনো টেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আপাতত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।’
কটিয়াদী পৌর মেয়র মো. শওকত উসমান বলেন, টেন্ডারে অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। জনগণের সুবিধার্থে সড়কটি দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
Comments
comments