ঢাকারবিবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোয়ালন্দে জমির চুক্তিবদ্ধ ৩ বছরে থাকলেও ৭ বছর ধরে দখল

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০ ৬:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা দৌলতদিয়াতে জমি চুক্তির শর্ত তিন বছর থাকলে সেই চুক্তি সাত বছর চলছে তার পরেও জমির মালিকের জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না কলা বাগানের মালিক শরিফুল ইসলাম।

জানা যায়, দিন মুজুরী কৃষক গোপাল শেখ শরিফুল ইসলামের কাছে মাত্র তিন বছরে জন্য জমি লিজ দেয় । জমির লিজে মেয়াদ শেষ হয়ে সাত বছরর চলে জমি মালিক বলে আমার জমি ছেড়ে দেন । তারপরেও জমি ছেড়ে দিচ্ছেন না শরিফুল ইসলাম আমার পাশের জমি প্রতি বছরে লিজের টাকা পাচ্ছে সাত হাজার টাকা করে অথচ সে আমাকে বছরে তিন হাজার টাকার বেশি দিচ্ছেন না । এ দিকে আমার জমি যে মেয়াদে লিজ দেওয়া ছিলো সে মেয়াদ শেষ হয়ে সাত বছর চলছে । এখন আমি নিজেই আমার জমি আবাদ করবো আপনাকে আর লিজ দেব না । আপনি আমার জমি ছেড়ে দিন আমি তাকে বার বার বলছি আমার জমি থেকে আপনার কলা বাগান সরিয়ে নেন। সে কোন ভাবেই আমার কথা শুনছে না পরে আমি নিজেই কলা গাছ গুলো জমি থেকে অপসারন করে ফেলি।

অন্তত ৯শ কলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই জমি মালিকদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে কলাচাষী যুবক শুক্রবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই জমির মালিকরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন চুক্তির মেয়াদ আরো ৩ বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছে যার ফলে আমি আমার জমি থেকে কলা গাছ গুলো অপসারন করে ফেলি।

ক্ষতিগ্রস্থ যুবকের নাম মোঃ শরিফুল ইসলাম (২৪)। তিনি ফরিদপুর জেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চর চাঁদপুর গ্রামের হানিফ মোল্লার ছেলে।

অভিযুক্ত দুই জমি মালিক হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মনি সরদারের পাড়ার মৃত ফটিক শেখের ছেলে গোপাল শেখ (৪০) ও চর দৌলতদিয়া আদু বেপারি পাড়ার তেছের শেখের ছেলে হায়দার শেখ।

ক্ষতিগ্রস্থ যুবক শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার চর কর্ণেশন এলাকায় ৫ বছর আগে বিভিন্ন জমি মালিকদের কাছ থেকে বাৎসরিক জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানের পরিমান প্রায় ৪০ বিঘা। এর মধ্যে গোপাল শেখ ও হায়দার শেখদের পারিবারিক জমি রয়েছে ৮ বিঘা। চুক্তি অনুযায়ী বিঘা প্রতি তাদের বছরে ৪ হাজার টাকা করে দেই। এ বছর চলতি আশ্বিন মাস পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ রয়েছে। এ অবস্থায় আমাকে কিছু না জানিয়ে গোপাল শেখ, হায়দার শেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বাগানে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রায় ৩ বিঘা জমির অন্তত ১২ শ কলাগাছ কেটে ফেলে। এর মধ্যে বহু ফলবান কলাগাছ ছিল। ক্ষতির পরিমান অন্তত ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

খবর পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার আমি গোপাল শেখের বাড়িতে গেলে তারা আমাকে গালাগাল দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি জানান, ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে তিনি চরের পতিত জমিতে কলা বাগান শুরু করি। এই ঘটনায় তার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা খুব কষ্ট হবে। লোনের কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত গোপাল শেখ বলেন, আমরা দরিদ্র কৃষক। অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে বেঁচে আছি। ৩ বছর আগে জমির চুক্তির হয়ে গেছে। এরপর থেকে শরিফুলকে ৩ বছর ধরে আমাদের অংশের ৩ বিঘা জমি ছেড়ে দিতে বলছি। কিন্তু না ছেড়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখায়।এবারের বন্যায় বাগানের প্রায় সব কলাগাছ মরে গেছে। অল্প কিছু আধমরা গাছ ছিল তা কেটে ফেলে সেখানে আমরা বেগুন-টমেটোর আবাদ করতে চাচ্ছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আ. গফুর বলেন, ওই জমি নিয়ে মিমাংসার জন্য বারবার কলাচাষী শরিফুল ডাকা হলেও সে শালিশে হাজির হয় না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুলল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ যুবক শরিফুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

comments