কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ফরহাদ আহমেদ জয় দুই হাত হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সে পাকুন্দিয়ার উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের মেঝ ছেলে।
স্বপ্নটা ছিলো অনেক রঙ্গিন। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর বেসামরিক চাকরিতে যোগদান করেন। মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের সমস্যার কারণে সেটিও হারাতে হয় তাকে। এলাকায় ভাল ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত ছিল। তারপরও অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরেন রড-মিস্ত্রির কাজ করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় লোহার রডের মাধ্যমে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই হাত সহ ডান পায়ের একাংশ পুড়ে যায়। পরিবারের সচ্ছলতার জায়গায় আজ আহাজারির মাতম।
ফরহাদের মাতা স্বপ্না আক্তার বলেন, জায়গায় জমি নাই আমাদের। আমার বড় ছেলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছোট্ট চাকুরী করে। জয়ের পিতা অসুস্থতার জন্য এখন আর আগের মতো কাজ করিতে পারে না। আর ছোট ছেলে স্হানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেনিতে লেখাপড়া করে। অনেক খরচ আয় কম। জয়ের চিকিৎসা করে দুবেলা খাবার খাওয়াই মুশকিল। তাছাড়া ছেলের ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করিলে আমার দুচোখ অন্ধ হয়ে যায়।
ফরহাদের চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন টুটুল জানান, সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি পাকুন্দিয়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের জমা দিয়ে অফিস সহ চেয়ারম্যানের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করি একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য আজ পর্যন্ত কোন আশ্বাস আসেনি।
এলাকাবাসী জানান, আমরা সহযোগিতা করি যা দিয়ে সাময়িক ভাবে কোন মতে চলে যেতে পারে। যদি সরকারি ভাবে ছেলেটিকে পুনর্বাসন করে তাহলে পরিবার সহ এলাকার সকলেই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে।
এ দিকে ফরহাদকে সরকারিভাবে সহযোগীতা করা হবে বলে জানান উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
Comments
comments