ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুনসুর আলী সরদার (৭৫) পার্শ্ববর্তী নিজাম উদ্দিন সরদারের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি ওই বাড়ীর মালিক এলাকায় ফিরে আসায় মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলীকে বাড়ীটি ছেড়ে দিতে হয়েছে। পরে এ মুক্তিযোদ্ধা ভান্ডারিয়া উপজেলার রাধানগর গ্রামে ফুফু জামিলা বেগমের বাড়িতে আশ্রায় নেন। ৭৫ বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধা অর্থের অভাবে এখন পর্যন্ত বসবাসের জন্যে কোনো গৃহ নির্মান করতে পারেননি। কখনও এ আত্মীয় বাড়ী, আবার কখনও বা অন্য আত্মীয় বাড়ী মানবতার জীবন-যাপন করছেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করার জন্যে তিনি নিজ হাতে নৌকা তৈরি করে পার্শ্ববর্তী ভারতের কল্যান ঘর হাবরায় প্রশিক্ষন নিয়ে বাংলাদেশে এসে যুদ্ধে অংশ নেন। এ মুক্তিযোদ্ধা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাথা গোজার ঠাই হিসেবে একটি গৃহের আবেদন জানাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। চার সন্তানের জনক মুনসুর সরদার, বড় ছেলে জাকির স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকার কর্মস্থলে বসবাস করছেন, ছোট ছেলে মহসীন সরদার তাদের সাথে বেকার জীবন-যাপন করছেন। মেয়ে লিলি ও সালমা আক্তার স্বামী বাড়িতে রয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী জানান, “ কাঠালিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার আকন্দ মোহাম্মাদ ফয়সাল উদ্দীন স্যারের কাছে একটি ঘর চেয়ে আবেদন করেছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি”। বিষয়টি নিয়ে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে ঘর দেয়ার সুযোগ নেই। যাহারা ঘর চেয়ে আবেদন করেছিলো তাদের মধ্যে যাহারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে ঘর দেয়া হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী আমার কাছে আবেদন করেনি, আবেদন করলে পরবর্তীতে ঘর আসলে দেখা যাবে।
Comments
comments