ঢাকাসোমবার , ২৬ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোয়ালন্দে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ২৬, ২০২০ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মা নদী হতে অবৈধ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেশিনের শতাধিক পাইপ ধ্বংস করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ২৬ অক্টোবর সোমবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলায় কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম এ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করা ড্রেজিং মেশিনের শতাধিক পাইপ ধ্বংস করেন। যার আথিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এর আগেও প্রসাশনের লোকজন অবৈধ ড্রেজিং মেশিন ধ্বংস করলেও কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে প্রভাবশালীরা নির্বিচারের বালু তুলে রমরমা বাণিজ্য করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর উজানচর ইউনিয়নের ৭ নং ফৈজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে স্থানীয় লাভলু ফকির, শমসের, জহিরুল মুন্সি, ইউসুফ সহ প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি। উত্তোলিত বালু দীর্ঘ পাইপের মাধ্যমে তারা পাশ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার গোয়ালটিলা নামক জায়গায় ফেলে বালুর স্তুপ করছেন। সেখান থেকে চড়া দামে ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে উত্তোলিত হওয়া বালু।এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষেরা। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ওই এলাকায় বোরো ধানের চাষ করতেন জমির মালিকরা। প্রাণ ভয়ে তারা তাদের নাম প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে লাভলু ফকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ড্রেজার মেশিনটি আমার নিজের। তবে সেটা আমি জহিরুল মুন্সির নিকট ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। জহিরুল ফরিদপুর সীমান্তের মধ্যে তাদের নিজস্ব জমি ও শরীকদের জমি হতে বৈধভাবে মাটি কাটছে। ওই জমি সরকারি খাস নয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন। এছাড়া আমরা কাউকে কোনরূপ হুমকি বা ভয়ভীতি দেখাইনি। এটা উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে মরা পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিনের শতাধিক পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। এ কাজের সাথে জড়িতে কাউকে ধরতে না পাড়ায় তাদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে এখন থেকে শুধু এখানে নয় উপজেলার কোথায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Comments

comments