ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ জুন ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাটোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ২৩, ২০২০ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের হরিশপুর এলাকায়। নিহত সুমাইয়া নাটোরের বলাড়িপাড়া মহল্লার মৃত সিদ্দিকুর রহমান যশোরীর মেয়ে। তিনি নাটোর শহরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে প্রকৌশলী মোস্তাক হোসেন স্ত্রী ছিলেন।

সুমাইয়ার মা নুজহাত বেগম জানান, শ্বশুর জাকির হোসেনের কাছ থেকে ফোনে মেয়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে যশোর থেকে নাটোরে ছুটে আসেন তিনি। যশোর বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এসে দেখেন, হাসপাতালের মর্গে মেয়ের লাশ পড়ে আছে। শ্বশুর, স্বামী বা তাঁদের পরিবারের কেউই সেখানে নেই। তার ধারণা নির্যাতন করে তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছেন শ্বাশুর বাড়ির লোকজন। সুমাইয়ার মা আরও অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমাইয়ার পড়ালেখা ও পরে চাকরি করার ইচ্ছা মেনে নিতে পারছিল না। একারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগেও তাঁকে ঘরে আটকে রেখে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে মোস্তাকের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমাইয়ার। বাবা অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান যশোরী ছিলেন একজন নামকরা ইসলামি বক্তা। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন সুমাইয়া। ভর্তির তিন বছরের মাথায় বাবার পছন্দেই মোস্তাককে বিয়ে করেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন পড়ালেখায় বাদ সাধে। পড়াশোনার বদলে গৃহস্থালির কাজে মনোযোগ দেওয়ার তাগিদ আসে। পড়ালেখার খরচ বাবা সিদ্দিকুরই দিতেন। তাই পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়নি সুমাইয়াকে। প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন তিনি। ঢাকায় থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ গত সেপ্টেম্বরে বাবা অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান মারা যান। এতে আর্থিক সংকটে পড়েন সুমাইয়া। শ্বশুরবাড়ি থেকে সহযোগিতার পরিবর্তে চাকরির চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পুরোপুরি সংসারী হওয়ার নির্দেশ আসে। কিন্তু সবকিছু ভুলে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েই ডুবে ছিলেন সুমাইয়া। তবে শেষ পর্যন্ত জীবনের কাছে তাঁকে হার মানতে হয়েছে তাঁর। গত রোববার রাতে সুমাইয়াকে তাঁর স্বামীর ঘরে মারপিট করে হত্যা করা হয়। এরপর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সোমবার দুপুরে সুমাইয়ার মা নুজহাত বেগম যখন নাটোর সদর হাসপাতালে পৌঁছান, তখন সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক, শ্বশুর জাকির বা ওই পরিবারের কাউকে পাননি। সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন। ময়না তদন্ত শেষে রাতে নাটোরের একটি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গতকাল রাতে নিহত নারীর মা নুজহাত বেগম থানায় মামলা করেছেন। এতে সুমাইয়ার স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা গ্রহণের পর আসামিদের ধরতে সারা রাত অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সুমাইয়ার ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। ঘটনাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সুমাইয়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু স্বামীর বাড়িতে ঘটনাটা ঘটেছে, তাই সব দায় দায়িত্ব স্বামী ও তাঁর স্বজনদেরই বহন করতে হবে।

Comments

comments