ঢাকাশনিবার , ৪ জুলাই ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে ২৮ একর সরকারি ভূমি কয়েক পরিবারের দখলে!

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ৪, ২০২০ ৬:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে সরজমিনে দেখা যায়, সিমেন্টের পিলারের বেষ্টনীতে কাটাঁতারের বেড়া দিয়ে সরকারি ২৮ একর বিশাল সম্পদ কয়েক পরিবারের দখলে রেখে বাগান ও মৎস্যচাষের কাজ চলছে।

কিশোরগঞ্জ জেলায় সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নস্থ ২৮ একর সরকারি ভূমি দীর্ঘ কয়েক দশক যাবৎ পতিত থাকায় এ যেন দায়হীন ভূমিতে পরিনত হয়েছে। কখনও গাছ কাটা ও সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়েছে কিন্তু প্রশাসনিক কোন উদ্যোগ না থাকায় বিশাল জায়গাটি অরক্ষিত অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের চত্বরের সামনে বুক চিরে পড়ে আছে কয়েক দশক যাবত। বিশাল ভূমিটির দক্ষিন পার্শ্বে সদর উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও সরকারি রাস্তা। পূর্ব পার্শ্বে কিশোরগঞ্জ টু তাড়াইল সংযোগ সড়ক রয়েছে এবং উত্তর দিকে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও সরকারি রাস্তা এবং পানি নিস্কাশনের একটি খাল রয়েছে। এই বিশাল ভূমিটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আসলেও কোন প্রকল্পই আলোর মুখ দেখতে পায়নি যদিও প্রয়াত নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু গত ২৮শে জুন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান হঠাৎ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও উপজেলা পরিষদ কিশোরগঞ্জ সদর আইডিতে লাইভে বক্তব্য দিয়ে বিশাল জলাভূমিটি পরিস্কার করে মাছ চাষ ও বাগান করার উদ্যোগের কথা বললে তাৎক্ষনিক ভাবে সচেতন মানুষের মাঝে তৈরী হয় নানান ধারনা। অনেকেই বলছেন আদৌ কি সরকারি প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখবে। একই ভূমিতে কিছুদিন আগে সরকারি নির্ধারিত স্থান হাইটেক পার্কে সয়েল টেস্ট করা হয় এবং শেখ রাসেল শিশু একাডেমি, শিশু পার্ক ও একটি খেলার মাঠের প্রস্তাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে এই উদ্যোগটি সরকারি কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবেনাতো? এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে সরকারি বিশাল ভূমিটি কয়েকটি পরিবারের হাতে স্থায়ী চাষাবাদ ও দখলে চলে যাচ্ছে এবং জনস্বার্থে সরকারি বিশাল প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় সিমেন্টের পিলার দিয়ে কাটাঁতারের বেষ্টনী তৈরী করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাদির মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন, এটি সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের ভূমি, আমার জানামতে এখানে কোন স্থাপনা বা চাষাবাদ করা হচ্ছেনা। এখানে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্ক, শেখ রাসেল শিশু একাডেমি, শিশু পার্ক ও খেলার মাঠ পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ চলছে। ইতিমধ্যে হাইটেক পার্কের সয়েলটেষ্ট সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। যদি কেহ ঐচ্ছিক ভাবে কোন স্থাপনা বা চাষাবাদ করে থাকে তা উচ্ছেদ করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে এরই আলোকে চল্লিশটি পরিবারকে এখানে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহন করেছি। আমার ফেসবুক আইডিতে লাইভ এর মাধ্যমে সম্প্রচার করেছি। জায়গাটি ১নং খাস খতিয়ানের অর্ন্তভূক্ত কিন্তু অনাবাদি জায়গা আবাদের লক্ষে এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী’র ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন, জায়গাটির বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি, তবে উপজেলা প্রশাসন কোন কাজ বাস্তবায়ন করলে জেলা প্রশাসন কে অবহিত করতে হয়। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে কোনো স্থাপনা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।

Comments

comments