কতৃপক্ষের ভুলের কারণে একই নাম দুইবার লিপিবদ্ধ হওয়ায় ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়ার কারণে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যুৎ প্রসাদ রায় নাম সংশোধন করতে পারেননি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যুৎ প্রসাদ রায়, পিতা- স্বগর্ীয় ভবানি প্রসাদ রায়, গ্রাম- পাঁচরুখী, পোঃ পাঁচরুখী, উপজেলা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ। ২০০০ সনের ০৭ অক্টোবর প্রকাশিত “মুক্তিবার্তায়” নং- ০১১৫০৮০২৩৬ লিপিবদ্ধ হয়। উক্ত মুক্তিবার্তায় পরবর্তী ক্রমিক ০১১৫০৮০২৩৭ এ আঃ মন্নান, পিতা- মৃত শহর আলী সরদার, গ্রাম- দিলালপুর, ডাকঘর- সিংরইল, উপজেলা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ লিপিবদ্ধ হয়। যাহা সঠিক ছিল। পরবর্তীতে ২০০৫ সনের ১৪ মে মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কতৃক গেজেটে ক্রমিক নং- ২৬৭৫ এ বিদ্যুৎ প্রসাদ রায়, পিতা- স্বগর্ীয় ভবানি প্রসাদ রায়, গ্রাম- পাঁচরুখী, উপজেলা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ লিপিবদ্ধ হয়।
পরবতর্ীতে লাল মুক্তিবার্তা বইয়ে উক্ত নামটি স্থানান্তর করার সময় মুক্তিবার্তা নং- ০১১৫০৮০২৩৬ ও ০১১৫০৮০২৩৭ এ বিদ্যুৎ প্রসাদ রায়ের নামের পরিবর্তে ভুলবশতঃ দুই ক্রমিকেই আব্দুল মন্নান লিপিবদ্ধ হয়। উক্ত বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রসাদ রায় ও আব্দুল মন্নান যৌথভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নান্দাইল, ময়মনসিংহ বরাবরে আবেদন করলে মূল মুক্তিবার্তা হইতে লাল মুক্তিবার্তা বইয়ে স্থানান্তরের সময় দুইটিতেই ভুলবশতঃ একই নাম অর্থাৎ আব্দুল মন্নান লিপিবদ্ধ হয়। উক্ত বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্মারক নং- ০৫.৪৫.৬১৭২.০০৭.৫৫.০০৯.১৮-২৫৩, তারিখ: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিঃ জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহকে পত্র দেয়। উক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ স্মারক নং- ০৫.৪৫.৬১০০.০১৩. ৫৫.০৩৭.১৮ (৪)- ৩২৫, তাং- ২৫/০৪/২০১৯ খ্রিঃ মূলে সচিব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বরাবরে নাম সংশোধনের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত কোন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণ না করায় বীরমুক্তিযোদ্ধা বিদ্যুৎ প্রসাদ রায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একখানা রিট পিটিশন (পিটিশন নং- ১২৭১৬/২০১৯) দায়ের করেন। উক্ত পিটিশনখানা ১লা ডিসেম্বর ২০১৯ শুনানীয়ান্তে মাননীয় বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের এঁর যৌথ বেঞ্চ কোন প্রকার ওজর আপত্তি ছাড়াই দুই মাসের মধ্যে উক্ত লাল মুক্তিবার্তা সংশোধন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আদেশ দেন। উক্ত আদেশের ১০ মাস পরেও উক্ত লাল মুক্তিবার্তা সংশোধন করা হয় নাই। ফলে আদালতের আদেশের পরও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা বিদ্যুৎ প্রসাদ রায় নাম সংশোধনের আশায় হতাশ হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
Comments
comments