ঢাকারবিবার , ২৫ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউজিসির তদন্ত ‘একপেশে’, বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি রাবি উপাচার্যের

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ২৫, ২০২০ ৬:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘একপেশে’ এবং ‘পক্ষপাতমূলক’ আখ্যায়িত করে আনীত অভিযোগসমূহের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিসহ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান।

রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে এসব দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নামধারী কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষক নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্যই সরকার ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের যোগসাজশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

উপাচার্য আরো বলেন, সাবেক উপাচার্য মিজানউদ্দিনের সময় প্রণয়ন করা ২০১৫ সালের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী আইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। এই বিজ্ঞপ্তিতে আইন বিভাগের তিনটি পদের বিপরীতে পাঁচটি আবেদন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের দুটি পদের বিপরীতে পাঁচটি আবেদন পাওয়া যায়। পদের বিপরীতে অল্পসংখ্যক আবেদন জমা পড়ার কারণে উভয় বিভাগের সভাপতিরা ২০১৫ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় উল্লেখ থাকা শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। এ ছাড়া অন্য অনেক বিভাগও ওই নীতিমালায় শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা না হলে সেসব বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হবে না বলে মৌখিকভাবে জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৫ সালের নীতিমালা বাতিল করে ২০১২ সালের নীতিমালা পুনর্বহালের কথা বলা হয়।

আব্দুস সোবহান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭২তম সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ নীতিমালা নতুন করে প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৭ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়। কিন্তু এই নীতিমালা সম্পর্কে গণমাধ্যমে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এই নীতিমালার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে শিক্ষক নিয়োগের বর্তমান নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেন। সুতরাং এই নীতিমালা নিয়ে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

নীতিমালা শিথিলের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, যখন নিয়োগ বোর্ড গঠনের মাধ্যমে দক্ষ, মেধাবীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। নিয়োগ বোর্ড যদি মনে করে নিয়োগ দেয়ার মত তারা সেটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে তখন সেটা সিন্ডিকেটে পাশ করা হয়। এখানে পক্ষপাতের কিছু নাই।

নিজের নামে হেফজখানা নামকরণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, হেফজখানা নামকরণ আমার নামে করা হয়নি। আর ওটা মাদ্রাসাও নয় হেফজখানা। গোরস্থান মসজিদ সংস্কার হওয়ার পর মসজিদ কমিটি থেকে হেফজখানা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। “সোবহানিয়া আল কুরআনুল কারীম হেফজখানা নামকরণ করা হয়েছে।” আর সোবহানিয়া শব্দের অর্থ সুন্দর। আর আমার নামের অর্থ আল্লাহর দাস।

চলতি বছরের শুরুর দিকে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো.জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিসহ বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ইউজিসিতে জমা দেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযোগগুলো তদন্তে ইউজিসি একটি কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ৭৩৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ইউজিসি’র তদন্ত কমিটি জমা দেয়।

Comments

comments