ঢাকারবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লেখক প্রকাশক সম্পর্ক হোক সৌহার্দ্যপূর্ন

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০ ২:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে রয়েছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস।ভাষার জন্য জীবন দেয়া সার্থক জাতি পৃথিবীতে একমাত্র আমরাই।

বহু কষ্টে অর্জিত এই ভাষা আমরা আমাদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসি। মুখে বলার মাধ্যমে,লিখার মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়ের কথাগুলো প্রকাশ করি।
লেখার কথা বলতে গেলে বইয়ের প্রসঙ্গ এসে যায়।যারা বই লেখে তাদের বলা হয় লেখক। লেখকের সাহিত্যকর্ম নিয়ে পাঠকের মনে নানারকম জল্পনা-কল্পনা থাকে।
বই বা সাহিত্যকর্ম নিয়ে একজন পাঠক যতটা চিন্তিত তার থেকে বেশি চিন্তিত থাকে লেখক।লেখকের কাছে তার লেখাগুলো তার সন্তানের মত।একটি বই পাঠকের হাতে পৌঁছানোর আগে অনেকগুলো হাত বদল হয়।এক হাত থেকে অন্য হাতে যেতে যেতে মানব শিশুর মত বইয়েরও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

একজন লেখক একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে সন্তানের মত লালন-পালন করে একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন।হতে পারে গল্প,উপন্যাস,কবিতা কিংবা প্রবন্ধ।প্রত্যেকটি পাণ্ডুলিপির পিছনে থাকে লেখকের হাড়ভাঙা খাটুনি।তারপর পাণ্ডুলিপি থেকে দেখে দেখে টাইপ করা, বানান ঠিক করা ছাড়াও আরো বিভিন্নরকম কাজ করতে হয়।অর্থাৎ, লেখক প্রকাশকের সম্মিলিত কর্মের নাম বই।
বই শিল্পকর্মের মত।লেখকেরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে একটি বই তৈরি করেন। তিনি চান তার শিল্পকর্ম যেন মানুষের হাতে হাতে পৌঁছায়।এই পৌঁছানোর কাজ করে থাকে প্রকাশক।শিল্পের তাগিদে লেখক প্রকাশককে এক ছাদের নিচে বারবারই আসতে হচ্ছে।কিন্তু লেখকরা বারবার অভিযোগ করছে প্রকাশকদের বিরুদ্ধে যে, প্রকাশকরা তাদের সাথে রয়্যালিটি নিয়ে কোন প্রকার চুক্তি করতে চান না।

লেখক শিল্পী মানুষ, তার শিল্পকর্মের নাম বই। শিল্পে তার নাম লেগে আছে।সবাই তা কিনছে কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য তার খাবার সে টাকার অভাবে কিনতে পারছে না।লেখকও মানুষ।অন্যান্য মানুষের মত তাকেও পেটের তাগিদে খাবার খেতে হয়।সে বইয়ের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে না।লেখকের পেটে খাবার পৌঁছে দিতে হলে তার পকেটে তার বই বিক্রির প্রাপ্য রয়্যালিটি পৌঁছে দিতে হবে।

রয়্যালিটি পেতে গেলে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে চুক্তি।কিন্তু প্রকাশক হাতেগুনা দুই-একজন লেখক ছাড়া আর কারো সাথে চুক্তি করেন না।এর ফলে সবচেয়ে বিপাকে পরে তরুণ লেখকেরা।তারা তাদের প্রাপ্য রয়্যালিটি থেকে বঞ্চিত হন।প্রকাশকের সাথে লেখকের কোন প্রকার চুক্তি না থাকায় লেখক তার প্রাপ্য রয়্যালিটি থেকে বঞ্চিত হয়েও আইনের আশ্রয়ে যেতে পারেন না।

চুক্তি না থাকার ফলে কয়টা বই বিক্রি তা জানতে পারেন না লেখক।যার ফলে প্রাপ্য রয়্যালিটি পেতে বেগ পেতে হয় লেখকদের।

রয়্যালিটির ব্যাপারে নজরদারি করতে গেলে প্রকাশকদের তোপে বিষয়টি নিয়ে এগুতে পারেনি বাংলা একাডেমি। প্রকাশকদের ক্ষোভ হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কারও রয়্যালটির কাগজ যাচাই করার এখতিয়ার বাংলা একাডেমির নেই।

প্রকাশকদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বই ছাপানোকে উৎসাহিত করে যা তরুণ লেখকদেক জন্য এক বিভিষিকার নাম।

বই নামক শিল্পের বাজারে লেখকই শুধু প্রকাশকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় না।প্রকাশকেরও সুস্পষ্ট কিছু অভিযোগ আছে লেখকদের বিরুদ্ধে।প্রকাশদের প্রথম অভিযোগ লেখক টাকা না পেলে কেন প্রকাশনায় বই দেয় এবং কেন। তারা চুক্তিতে যায় না।

এরকম যুক্তিতর্কে গেলে আজীবন যুক্তিতর্ক চলতে থাকবে।প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে ছাড় দিলে বই নামক শিল্পটি ভালোভাবে দাঁড়ায় এবং বাঙালি একটু সুস্থ্য ও সুন্দর মানসিকতা সম্পূর্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পায়।মোটকথা, লেখকের সাথে প্রকাশকের এবং প্রকাশকের সাথে লেখকের যেন সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক বজায় থাকে।

ইকবাল হাসান, শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

Comments

comments