আগামী বছর থেকে শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার সময়সীমা এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই পাঁচ বছর নয়, এখন থেকে প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি করতে হবে চার বছর বয়সে। তবে, সব বিদ্যালয়ে নয়, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আপাতত এর প্রয়োগ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, ছয় বছর বয়সে প্রথম শ্রেনীতে অধ্যয়নের জন্য শিশুদের যথাযথভাবে তৈরি করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। যা শুরু করা হয় ২০০৪ সালে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের মাধ্যমে। এই কার্যক্রম সফল হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছরের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনীতে ভর্তি শুরু করে। প্রথমদিকে শুধু নিবন্ধিত বিদ্যালয়ে চালু করা হয় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনী। এরপর ২০১৬ সাল থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনীতে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল মিলিয়ে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ২৫৮টি। এর সবগুলোতেই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। যাতে অধ্যয়ন করছে প্রায় ৩৭ লাখ শিক্ষার্থী।
প্রায় আট বছর আগে চালু হওয়া প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে এতদিন শিক্ষা কার্যক্রমের সময়সীমা ছিলো এক বছর। ৫ বছর বয়সে প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি হয়ে এক বছর পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতো শিশুরা। তবে সরকার, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের সময়সীমা বাড়িয়ে দুই বছর করেছে। অর্থাৎ এখন থেকে ৪ বছর বয়সেই শিশু প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুনতম মান বাড়াতে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় দুই বছর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শিশুদের প্রথম শ্রেনীতে পড়ার যোগ্যতা ও বিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার অভ্যাস তৈরী হবে।
প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের প্রত্যেক গ্রামে একটি করে বিদ্যালয়ে কার্যকর করা হবে এটি। এতে অর্থায়ন করবে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন নামে বিদেশী একটি প্রতিষ্ঠান।
Comments
comments