ঢাকাশুক্রবার , ১১ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত গাছিরা

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ১১, ২০২০ ৯:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেজুর গাছের রস সংগ্রহে নেমে পড়েছেন গাছিরা। বেতাল গ্রামে চলার পথে নজরে পড়ে তাদের কর্মব্যস্ততা। বাপ-দাদার পেশাকে আকড়া ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ খেজুরের রস সংগ্রহ করে বিক্রি করেন তারা।

জানা গেছে, সাধারণত বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ এই ৪ মাস খেজুরগাছ থেকে মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়। তবে কোন কোন সময় শীত আগে আসলে রস সংগ্রহও শুরু হয় আগেভাগেই। শীত এলেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ খেজুরের রস খেতে ছুটে আসেন বেতাল গ্রামে। শীতে রস সংগ্রহের এই চার মাস এলাকার অনেক গাছিই খেজুরের রস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

গাছিরা জানান, আগে প্রচুর গাছ ছিল। ইটের ভাটা ও বিদেশি কাঠ বাগান তৈরি, নতুন করে গাছ না লাগানোয় খেজুর গাছের পরিমাণ কমছে। সঠিকভাবে এর পরিচর্যা না করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ ইত্যাদি নানা কারণে উপজেলার খেজুরগাছ বিলীন হতে চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রায় সব এলাকায় কমবেশি খেজুরের গাছ চোখে পড়লেও তুলনামূলকভাবে উপজেলার বেতাল এলাকায় খেজুর গাছের রস বিক্রি করতে দেখা যায়।

খেজুর রস খেতে আসা জুবায়ের, রফিক ও কলেজ ছাত্র মাহতাব বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে আমরা খেজুরের রস খেতে আসি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ খেজুরের রস নিয়ে যায়। রস খেতে খুব সুস্বাদু বলেও জানান তারা।

বেতাল গ্রামের গাছি বাদল মিয়া জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে তিনি ১৫ থেকে ২০ টি গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন। এক একটি গাছ থেকে প্রায় ৫ থেকে ১৫ লিটার রস পাওয়া যায়। প্রতি লিটার রস ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা লিটার বিক্রি করেন তিনি। সূর্য উঠার আগেই তিনি গাছ থেকে ওই রস সংগ্রহ করেন। সকালের মধ্যেই তার সব রস বিক্রি হয়ে যায়।

গাছি রুবেল হোসেন জানান, বাপ-দাদারাও এক সময় খেজুরের রস সংগ্রহ করে বিক্রি করেছেন। এখন আমরা করছি। বাপ-দাদার পেশাটাকে এখনও ধরে রাখার চেষ্টা করছি। দিন পর দিন খেজুরের গাছ কমতে থাকায় শঙ্কিত তারা।

Comments

comments